প্রকাশিত : ২৪ জুলাই, ২০১৯ ০১:৫৯

বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও দূর্ভোগ কমেনি বানভাসী মানুষের

সাঘাটা (গাইবান্ধা) থেকে আবু সাঈদ মন্ডলঃ
বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও দূর্ভোগ কমেনি বানভাসী মানুষের

বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও চরম দূর্ভোগ বেড়েছে বানভাসী মানুষদের মাঝে। বন্যার পানির তোরে রাস্তা-ঘাট ব্রীজ ভেঙ্গে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ায় জেলা-উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি। উপজেলার সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। হাজার হাজার পরিবার তাদের বাড়িঘর ছেড়ে ওয়াবদা বাঁধ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উপজেলার নব নির্মিত উপজেলা পরিষদ হল রুমে ও রেল লাইনের উপর আশ্রয় নিয়ে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছে। যা স্বচক্ষে না দেখলে কেহ অনুভব করতে পারবে না।

গরু-বাছুর, হাস-মুরগী, ভেড়া-ছাগলের খাদ্য সংকট সহ নানা সমস্যায় বিপাকে পড়েছে বন্যার্ত অসহায় মানুষেরা। উপদ্রব দেখা দিয়েছে সাপ-পোকামাকড়ের। বোনারপাড়া ইউনিয়নের শিমুলতাইড় গ্রামের শাহীনের ১৪ বছরের কিশোরী কন্যা সিয়া মনিকে বিষধর সাপে কামড়েছিল। পরে জরুরী ভিত্তি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়। একদিকে ছেলেধরা’র ভয় অন্যদিকে ডাকাত পড়ার আতংকে ভূগছে বানভাসীরা। বিভিন্ন সূত্রে জানাযায়, সরকারীভাবে বানভাসী মানুষদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দ হলেও ইউপি চেয়ারম্যানদের স্বজন প্রীতির জন্য অনেক পরিবারই ত্রাণ সামগ্রী থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের পাতিলবাড়ী গ্রামের মৃত কছের মন্ডলের পুত্র আব্দুর রশিদ জানান, ‘চেয়ারম্যান-মেম্বাররা ৪/৫ বার রিলিফ দিছে। কিন্তু আংগেরে ভাগ্যে একবারও ত্রাণ সামগ্রী জুটলো না। আবার একই মানুষ দুইবার করে পাইতাছে।’ হলদিয়া ইউনিয়নের বন্যা কবলিত এলাকার জন্য সরকারীভাবে কি পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দ হয়েছে তা জানতে চাইলে হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী জানান, এ যাবৎ ৪৫ মে.টন চাল বরাদ্দ পেয়েছিলাম। তা সাড়ে ৪ হাজার পরিবারের মাঝে বিতরণ করেছি। হলদিয়া ইউনিয়নের ত্রাণ সামগ্রী বঞ্চিত পানিবন্দি পরিবাররা জেলা প্রশাসকের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

উপরে