প্রকাশিত : ২৭ জুলাই, ২০১৯ ০৮:৫৫

নন্দীগ্রামে তিন গ্রামের দূর্ভোগ একটি রাস্তা

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) থেকে মো: ফজলুর রহমানঃ
নন্দীগ্রামে তিন গ্রামের দূর্ভোগ একটি রাস্তা

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম থেকে কুচমা যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি কাঁচা। এটি পাকা করার দাবি ৪৫ বছরের। সামান্য বৃষ্টি হলেই এ রাস্তায় চলাচলকারী মানুষদের অবর্ণনীয় দূর্ভোগের শিকার হতে হয়। এখন আবার বর্ষাকাল ফলে রাস্তাটি এখন ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার ভাটগ্রাম পশ্চিমপাড়া থেকে নিনগ্রাম হয়ে কুচমা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তাটির অবস্থা এমন বেহাল যে বর্তমানে এটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এই রাস্তা দিয়ে কালাইচাপড়, কুচমা ও নিনগ্রামের প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার লোকজন যাতায়াত করে। অথচ দীর্ঘদিন রাস্তাটি সংস্কার বিহীন পড়ে আছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই কর্দমাক্ত হয়ে চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে পড়াশোনা করতে গ্রামের ছেলে মেয়েরা এই কাঁচা রাস্তা ব্যবহার করে। এই ৩ গ্রামের অধিকাংশ মানুষ স্থানীয় বিভিন্ন শিল্পকারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। অনেকে কৃষি কাজও করেন। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে জনগণকে চরম দূর্ভোগের শিকার হতে হয়। কুচমা গ্রামের বাসিন্দা খায়রুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টি হলেই কাঁচা রাস্তায় কাদা পানি জমে থাকে । তখন ভ্যান ও সিএনজি চালিত অটো রিকসা চলতে পারে না। এমন কি হেঁটে চলাচল ও কঠিন হয়ে পড়ে। গত ৪৫ বছর ধরে এ রাস্তা পাকা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন জনপ্রতিনিধিরা।

সমাজ সেবক আব্দুল মোমিন বলেন, আমরা চরম অবহেলিত এলাকায় বসবাস করি, যার কারনে দীর্ঘ সময় পার হলেও গ্রামীন এই অবহেলিত মরণফাঁদ রাস্তায় এখনো কোনো আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার কে জানানোর পরও রাস্তাটি এখনও বেহাল পড়ে আছে। ভাটগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ওই ৩ গ্রামের মানুষ ৪৫ বছর ধরে দূর্ভোগে আছেন। জাতীয় নির্বাচনের সময় অনেক এমপি প্রার্থীই প্রতিশ্রুতি দেন। নির্বাচিত হবার পর সব ভুলে যায়। বর্তমান এমপিও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেখি তিনি এখন কি করেন। জানতে চাইলে বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন বলেন, ভাটগ্রাম পশ্চিমপাড়া থেকে নিনগ্রাম হয়ে কুচমা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তাটি পাকা করার জন্য তালিকা পাঠানো হয়েছে। অচিরেই রাস্তা পাকা করনের কাজ শুরু হবে। উপজেলা প্রকৌশলী ফজলুল হক বলেন, উপজেলায় ১৯২ কিলোমিটার রাস্তা কাঁচা রয়েছে। ওই রাস্তাটি দেখেছি অনেক কর্দমাক্ত। তবে পর্যায়ক্রমে সবগুলো রাস্তা পাকা করন হবে।

উপরে