প্রকাশিত : ২৮ জুলাই, ২০১৯ ১৭:০৯

বগুড়ায় বন্যা পরিস্থিতি বেড়েছে বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ

ষ্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ায় বন্যা পরিস্থিতি বেড়েছে বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ
ছবি: প্রতীকী

বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত না হলেও বাঙ্গালী নদীর পানি কমে বিপদসীমার ৮৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে যমুনা নদীর প্লাবিত এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও বাঙ্গালী নদীর পানি বৃদ্ধির কারনে সোনাতলা, সারিয়াকান্দি, গাবতলী, শাজাহানপুর উপজেলার ১৯ হাজার ৫২৬ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

তারা জানান, ১হাজার হেক্টর রোপা আমন বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া পাট সহ অন্যান্য ফসল নষ্ট হয়েছে ১৮ হাজার ৫২৬ হেক্টর জমির। এদিকে যমুনার পানি কমলেও বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। বরং সেটি আরো বেড়ে গেছে। যমুনা নদীর চর এলাকায় পানি থাকা অবস্থায় যে ঘরগুলো দাঁড়িয়ে ছিল, পানি নামার পর সেই ঘরগুলো ধসে পড়ছে।

প্রথম দফায় যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির কারনে সৃষ্ট বন্যায় জেলার সোনাতলা, সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর বিশাল চর এলাকা প্লাবিত হয়। পানিবন্দি হয়ে পড়ে প্রায় দেড় লাখ পরিবারের মানুষ। এরপর দ্বিতীয় দফায় বাঙ্গালী নদীর পানি বেড়ে জেলার সোনাতলা, সারিয়াকান্দি, গাবতলী, শাজাহানপুর, শেরপুর ও ধুনট উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় পানি প্রবেশ করে। বাঙালীর নদীর বন্যায় বাড়িঘরে পানি না উঠলেও উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ জানান, যমুনা নদীর পানি দ্রুত গতীতে কমলেও বাঙ্গালীর পানি ধীরে কমছে। তবে এই দুই নদীর পানি বাড়ার আর কোন আশঙ্কা নেই।

উপরে