প্রকাশিত : ২৯ জুলাই, ২০১৯ ২০:৫৪

বগুড়ায় যমুনার পানি বিপদসীমার নিচে

ষ্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ায় যমুনার পানি বিপদসীমার নিচে

বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও শেষ পর্যন্ত জেলার ৬টি উপজেলায় বন্যার পানি দেখা গেছে। সর্বশেষ আজ সোমবার শেরপুর উপজেলার কয়েকটি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। এই উপজেলার নদী এলাকার নিচু এলাকাতেই বেশি পানি দেখা দিয়েছে।

যমুনা নদীর পানি হ্রাস পাওয়ায় সারিযাকান্দিতে বন্যা পরিস্থিতর উন্নতি হতে শুরু করেছে। আজ সোমবার বিকাল ৬ টায় সারিয়াকান্দির মথুরাপাড়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। বাঙালী নদীর পানি কমে বিপদসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে।

বগুড়ার সোনাতলায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে বাঙালী নদীর পানি এখন বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার আরো ২ টি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। এ নিয়ে জেলার ৬ টি উপজেলা এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ৬ টি উপজেলা সারিয়াকান্দি, সোনাতলা, ধুনট, গাবতলী, শাজাহানপুর ও শেরপুর উপজেলায় ৭৫ হাজার পরিবারের প্রায় ৩ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যমুনা নদীর পানি হ্রাস পাওয়ায় সারিযাকান্দিতে বন্যা পরিস্থিতর উন্নতি হতে শুরু করেছে।

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বাঙালি ও করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে পৌর এলাকাসহ উপজেলার চারটি ইউনিয়নে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। উপজেলার নতুন নতুন ফসলী জমি তলিয়ে গেছে।

জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলায় যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও পানি বাড়ি ঘর থেকে পুরোপুরি নেমে যাায়নি। ফলে মানুষ এখনও বন্যা কবলিত বাড়ি ঘরে ফিরে যেতে পারেনি। বাঙালী নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় অন্য ৪ টি উপজেলায় বন্যার পানির সাথে যুদ্ধ করে চলছে।

উপরে