সিরাগঞ্জের উল্লাপাড়ায় আজ সকাল সাড়ে ৯ টায় পৌরসভাধিন নির্মানাধিন একটি বহুতল ভবনের ছেপটি ট্যাংকির সাটার খুলতে গিয়ে ২ জন শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু ও ১ জন মারাত্মক আহত হয়। বিল্ডিংয়ের মালিক পক্ষে সাক্ষাতকার প্রদানের সময় রবিন্দ্রনাথ সাহা বলেন , সকালে হেড মিস্ত্রি আব্দুস ছালামের তত্ত্বাবধানে নির্মান শ্রমিক প্রায় ৭ ফুট গভির ছেপটি ট্যাংকির নিচের সাটার খুলতে গেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

উল্লেখ্য শ্রমিকদের ট্যাংকির ভিতর নামতে মই ব্যবহার না করে সরাসরি একের পর এক নামার ফলে উঠতে না পেরে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে বলে স্থানিয়রা জানান। মুমুর্ষ অবস্থায় তিন জনকে উল্লাপাড়া (কাওয়াক) ৩০শষ্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ২ জনকে মৃত ঘোষনা করেন অপরজন চিকিৎসাধিন অবস্থায় রয়েছেন।

নিহতদের নামঃ মোঃ রেজাইল করিম (৩৮) প্রযত্নে আসাদুল গ্রাম শ্যামপুর, আল-আমিন (২৮) পিতা আব্দুস সালাম গ্রাম শিমুলতলি, কায়েমপুর, শাহজাদপুর । আহত মোঃ হোসেন আলি, পিতা তোরাই হোসেন গ্রাম বালসাবাড়ি।

মৃত্যুর কারন সম্পর্কে জানতে চাইলে উল্লাপাড়া মডেল থানা ওসি তদন্ত গোলাম মোস্তফা জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে ট্যাংকির ভিতর অক্সিজেন স্বল্পতা ও অসাবধানতার কারনে এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এব্যাপারে কাওয়াক হাসপাতালের আর এম ও ডাঃ ফিরোজ হাসানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ধারনা করা হচ্ছে ট্যাংকির ভিতরে পানি থাকায় এবং হয়তো বা অক্সিজেন স্বল্পতায় এ ২ জন শ্রমিক মৃত্যুর অন্যতম কারন হতে পারে।

আহত শ্রমিক হোসেন আলিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে পেরন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে হেড মিস্ত্রি আব্দুস সালামকে ফোন করা হলে তার পুত্র জানান, এই দুর্ঘটনার পর আমার পিতার হৃদরোগ আক্রান্ত হওয়ায় এনায়েতপুর হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে।

উল্লাপাড়া পৌর মেয়র এস এম নজরুল ইসলাম জানান, বিল্ডিং কোড মেনেই প্লান অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এবং পৌর ইঞ্জিনিয়ার বিল্ডিংটি যথাযথ পরিদর্শন করে কাজের গুনগত মান যাছাই করেছেন।

ছেপটি ট্যাংকি বিষয়টি নিতান্তই তাদের ব্যাক্তিগত বিষয় এবং এই মৃত্যুর জন্য দায়িকে বিষয়টি আমার বোধগম্য নয়। স্থানিয়দের দাবি পৌর শহরের শত শত বহুতল ভবন নির্মান হলেও শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও লাইভ সিকিউরিটি বাবদ বীমা না থাকায় তারা ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন ।