প্রকাশিত : ২ আগস্ট, ২০১৯ ০২:১৮

বগুড়ায় বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্যদের দুই গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষ, ৬ আইনজীবী আহত

নিজস্ব প্রতিবেদক
বগুড়ায় বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্যদের দুই গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষ, ৬ আইনজীবী আহত

আগস্টের প্রথম দিন বগুড়ায় বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবি পরিষদের সদস্যদের মাঝে কালো ব্যাচ ধারণ কর্মসূচীর উদ্বোধন করা নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের দুই গ্রুপের মাঝে হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি নরেশ মুখার্জী, আশেকুর রহমান সুজনসহ উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ছয়জন আইনজীবী আহত হয়েছেন। বগুড়া বারের সিনিয়র আইনজীবী বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এ্যাডভোকেট রেজাউল করিম মন্টুর চেম্বার ভাংচুর এবং তার উপর হামলার ঘটনায় মন্টুর পক্ষের আইনজীবিরা প্রতিপক্ষের উপর প্লাটা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের সংগঠনের বগুড়ায় কোন কমিটি নেই।

সে কারণে ওই সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির দুই সদস্য সিনিয়র আইনজীবী বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম মন্টু এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি নরেশ মুখার্জীর মতামতের ভিত্তিতে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়। ওই দু’জনের মধ্যে নরেশ মুখার্জ্জী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি আব্দুল মতিন গ্রুপের সদস্য হিসেবে পরিচিত। পিপি আব্দুল মতিন হজের জন্য সৌদি আরবে অবস্থান করায় তার পক্ষে নেতৃত্বে রয়েছেন নরেশ মুখার্জী। অপরদিকে রেজাউল করিম মন্টু তাদের বিরোধী পক্ষের নেতা হিসেবে পরিচিত।এ্যাডভোকেট রেজাউল করিম মন্টু জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী স্মরণে আগস্ট মাসজুড়ে নানা কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে আগস্টের প্রথম দিন সংগঠনের সদস্যদের কালো ব্যাচ ধারণের সিদ্ধান্ত হয়।

তিনি অভিযোগ করেন, নরেশ মুখার্জী গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এককভাবে কালো ব্যাচ ধারণ কর্মসূচী উদ্বোধন করেন। এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে সে অন্যের ওপর দোষ চাপায় এবং আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। পরে তার পক্ষের লোকজন এসে আমার চেম্বারের দরজা এবং মোহরারের টেবিল ভাংচুর করে আমার উপর রুমে আমার উপর হামলা চালায়। অ্যাডভোকেট নরেশ মুখার্জী ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি রেজাউল করিম মন্টুর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীদের মত আচরণের অভিযোগ উত্থাপন করে বলেন, ব্যাচ ধারণ কর্মসূচীতে অংশ নিতে তাকে ডাকা হয়েছে। কিন্তু তিনি তিনি অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। পরে তিনি আদালতে এসে আমাদের সাথে অশালিন আচরণ করেন। এক পর্যায়ে তার অনুগত কয়েকজন আইনজীবী আমাকে ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি আশেকুর রহমান সুজন এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত পিপি নুরুস সালাম সাগরসহ কমপক্ষে ৬ জন আইনজীবীকে মারপিট করে আহত করেন।

তিনি দাবী করেছেন স্পেশাল পিপি আশেকুর রহমান সুজনের হাতে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে এবং তার হাতে লাঠি দ্বারা আঘাত করা হয়েছে। আহত প্রত্যেকে আইনজীবী হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা এ ব্যাপারে নারী ও শিশু নির্যাদন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি নরেশ মুখার্জী বলেন, ‘আমরা বিষয়টি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং বগুড়া বার সমিতির নেতৃবৃন্দকে জানানো হয়েছে।

উপরে