প্রকাশিত : ২ আগস্ট, ২০১৯ ০২:৪১

সোনাতলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি...

ভাঙ্গনের শংকায় নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা
সোহেল হাসান হিটলু সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
সোনাতলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি...

বগুড়ার সোনাতলার উপজেলার পশ্চিম অঞ্চলের ৪টি ইউনিয়নের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে যে ভাবে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ছিল পানি কমছে ধীর গতিতে। কিছু জায়গায় সড়ক ভাঙ্গনের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ছিল সেই রাস্তা গুলি স্থানীয় ভাবে সংস্কার করে যাতায়াতের উপযোগী করে তোলা হয়েছে এতে করে যাতায়াতের ব্যাবস্থা কিছুটা লাঘব হয়েছে। উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের প্রায় ৪ হাজার পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছিল কিছু কিছু ঘর বাড়ী এবং উঠান হতে পানি নেমে গেছে।

এ ছাড়াও সদর ইউনিয়নের ৫টি গ্রাম সহ পৌর এলাকার কামার পাড়া, বিষুর পাড়া, গড়চৈতন্যপুর ও আগুনিয়াতাইড় গ্রামের কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছিল ওই সব এলাকা হতে পানি নেমে গিয়ে দূর্ভোগ কমে গেছে। বাঙ্গালী নদীতে পানি কমার ফলে উপজেলার হলিদাবগা, সোনাকানিয়া, মোনারপটল, রংরারপাড়া, পোড়াপাইকর, শ্যামপুর, নিশ্চিন্তপুর ও হুয়াকুয়া গ্রামবাসী নদী ভাঙ্গনের শংকায় আছে। ইতিমধ্যে হলিদাবগা গ্রামের ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। ওই সব গ্রামবাসী নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সংসদ সদস্যের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। উপজেলার বয়ড়া দাখিল মাদ্রাসা, এনায়েত আলী উচ্চ বিদ্যালয়, পোড়াপাইকড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব ভেলুর পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নিমেরপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে পানি নেমে গিয়েছে।

নিমেরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাখুলার জন্য মাঠ উপযোগী হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় মানুুষের দূর্ভোগের একটু লাঘব হলেও গো-খাদ্যের চরম সংকট কমেনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শফিকুর আলম জানান, বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে তবে বন্যা কবলিত এলাকায় প্রশাসনের নজরদারী রয়েছে যাতে জনগনের জানমালের নিরাপত্তা থাকে। চেয়ারম্যান রোস্তম আলী জানান, পানি কমলেও দূর্ভোগ এখনও কেটে ওঠেনি। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সহযোগিতা ও এম.পি মহোদয়ের সহযোগিতা অব্যহত থাকবে।

উপরে