৬০ টাকা হাজিরার নৈশ্য প্রহরীর দায়িত্বে দুই লাখ ভুমি মালিকের দলিলসহ সরকারী সম্পদ
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী সাব রেজিষ্টার অফিসে সংরক্ষিত উপজেলার দুই লাখ ভুমি মালিকের দলিল ও রের্কড ভলিয়ম রক্ষার দায়িত্বে রয়েছেন, দৈনিক ৬০ টাকা হাজিরার মাষ্টার রোলের এক নৈশ্য প্রহরীর।
ফুলবাড়ী সাব-রেজিষ্টার অফিসে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাব-রেজিষ্টার অফিসে নৈশ্য প্রহরী হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন, উপজেলার স্বজনপুকুর বুন্দিপাড়া গ্রামের মৃত আতাউর রহমান মোল্যার ছেলে মোঃ মোতালেব মোল্যা (৩০)।
এই নৈশ্য প্রহরী জানায় সে গত ২০০৯ সাল থেকে দৈনিক ৬০ টাকা হাজিরায় মাষ্টার রোলে নৈশ্য প্রহরীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি ছাড়া এই অফিসে আর কোন নৈশ্য প্রহরী নাই। তিনি আরো জানান, এই বেতন দিয়ে তার সংসার চলে না, এই জন্য তিনি দিনের বেলা দলিল লেখকদের সেরেস্তায় সহযোগীর কাজ করে বাড়তি আয় করে সংসার চালান।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ফুলবাড়ী সাব-রেজিষ্টার মনিরুল ইসলাম বলেন, সরকারী নৈশ্য প্রহরী গত ২০০৯ সালে অবসরে যাওয়ার পর সরকার আর কোন নৈশ্য প্রহরী নিয়োগ দেয়নি, এই কারনে সরকারী নিয়মানুসারে মোতালেব মোল্যাকে মাষ্টার রোলে নৈশ্য প্রহরী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নে উত্তরে সাব-রেজিষ্টার মনিরুল ইসলাম বলেন, এই সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে গত ২০০৭ সাল থেকে এই পর্যন্ত রেজিষ্ট্রি কৃত প্রায় ৭০হাজার দলিলের ভলিয়ম রেজিষ্টার বহি ও দলিল সংরক্ষিত আছে। যা সরকার ও ভূমি মালিকের সম্পদ।
ফুলবাড়ী সাব-রেষ্টিার অফিসের দলিল লেখক সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নজমুল হক নাজিম বলেন, দলিলের এক একটি ভলিয়ম রেজিষ্টার পাতা মহা-মূল্যবান। তিনি বলেন ভলিয়ম বহির একটি পাতা কম-বেশি হলে, ভূমি মালিকের জমি বে-হাত হয়ে যেতে পারে। সেখানে অফিসটির নিরাপত্তা একজন মাষ্টার রোলের নৈশ্য প্রহরীর উপর দেয়া ঝুঁকিপূর্ন বলে তিনি উল্লেখ করেন। দলিল লেখক সমিতির এই নেতা সাব-রেজিষ্টার অফিসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবী জানান।