প্রকাশিত : ২ আগস্ট, ২০১৯ ২১:৪৫

বগুড়ায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থরা ঘরে ফিরছে

ষ্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থরা ঘরে ফিরছে
ছবি: প্রতীকী

ধীরে ধীরে বগুড়ার বন্যাকবলিত এলাকায় উন্নয়নের ছাপ দেখা যাচ্ছে। বানভাসিরা খুব কম সংখ্যাক ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার যমুনা নদীর উচুঁ এলাকার বানভাসিরা ঘরে ফিরতে শুরু করেছে।

বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি দ্রুত হ্রাস পাওয়ায় সারিয়াকান্দি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সারিয়াকান্দিতে শুক্রবার বিকাল ৬ টায়  যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার সেন্টিমিটার  ৬৫ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বাঙালি নদীর পানি বিপদসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনার পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও বন্যায় প্লাবিত হওয়া ঘরবাড়ি বসবাসের উপযোগী না হওয়ায় বাসভাসি মানুষ সবাই ঘরে ফিতে পারছে না। যাদের ঘরে ক্ষতি কম তারা ফেরতে শুরু করেছে। অনেকেই ফিরে ঘরবাড়ি মেরামতও শুরু করেছে। 

বগুড়া জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজাহার আলী মন্ডল জানান, জেলায় বন্যাজনিত কারণে ৮ জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে সারিয়াকান্দি উপজেলায় সাপে কেঁটে ১জন, সোনাতলায় ৩ জন ও গাবতলী উপজেলায় এবং ধুনট উপজেলায় ১ জন পানিতে ডুবে মারা গেছেন। সব মিলিয়ে বন্যায় এখন পর্যন্ত ২৫ হাজার ৩৮৯ হেক্টর ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়েছে।  বাঙালী নদীর পানিতে সৃষ্ট বন্যায় এখন পর্যন্ত জেলার ৬ টি উপজেলার ৫৯ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪৩ ইউনিয়ন ও ৩ টি পৌরসভার ৩৭৭ গ্রাম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ৩ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। প্রায় ৬ হাজার ঘরবড়ির ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় ১৭৬ টি প্রাথমিক ও ৪৭ টি মাধ্যমিক স্কুল ও ৩ টি মাদ্রাসা বন্ধ রয়েছে। বন্যায় ২৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। এর মধ্যে ১০ হাজার হেক্টর জমির পাট, ৯ হাজার হেক্টর জমির আউস ধান, ৩ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিার আমনবীজ তলা নষ্ট হয়েছে

উপরে