নন্দীগ্রামে থাই পিয়ারা চাষে তাইজুলের চমক
থাই পিয়ারা বাগান করে বগুড়ার নন্দীগ্রামে চমক সৃষ্টি করেছেন উপজেলার নন্দীগ্রাম পৌরসভার ঢাকুইর সরদার পাড়া গ্রামের হায়তুল্লাহর ছেলে তাইজুল ইসলাম। পৌর শহর থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার অদূরে। তার বাগানে ছোট ছোট গাছে এখন ঝুলছে থাই পিয়ারা। থাই পিয়ারা চাষি তাইজুল ইসলাম জানান, ২০১৫ সালে নিজ গ্রামে ৬৬ শতক জমির উপর গড়ে তোলেন তার থাই পিয়ারা বাগান। এটাই এই উপজেলার সর্বপ্রথম থাই পিয়ারা বাগান বলে তার দাবি। তার বাগানে থাই পিয়ারার ২শ টি গাছ লাগানো হয়েছে।
একই জমিতে সাথী ফসল হিসেবে রয়েছে থাই লেবু, আম গাছ ও লিচু গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলের গাছ। চারা রোপণের এক বছর পরই থাই পিয়ারা ধরা শুরু করেছে। প্রথম বছর তিনি ২০ মন, দ্বিতীয় বছর ৩০ মন, তৃতীয় বছর ৪০ মন এবং বর্তমানে প্রতিদিন ৪ মন করে থাই পিয়ারা উঠছে বাগান থেকে যা এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। প্রতিদিন দুর দুরান্ত থেকে লোকজন আসছে তার বাগান থেকে পিয়ারা নিতে। থাই পিয়ারা গুলো খুচরা বিক্রি করেন ১২শ টাকা মন ও পাইকারি বিক্রি করেন ৮শ টাকা মন। তাইজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, তার এ বাগান করার পর থেকে কৃষি অফিসের কোন সহযোগিতা বা পরামর্শ তিনি পাননি।
বারবার বলার পরেও কৃষি অফিসের কোন লোকজন তার বাগান পরিদর্শনে আসেন নি। ওই এলাকার ঠান্ডু মিয়া বলেন, আমাদের নন্দীগ্রামে অনেক ভালো ভালো জমি রয়েছে যা থাই পিয়ারা চাষের উপযোগী। তা প্রমাণ করে দিলেন তাইজুল ইসলাম। তাকে দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক উৎসাহিত হয়ে আগামীতে থাই পিয়ারা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। সোমবার সকালে সরেজমিনে উপজেলার পৌরসভার ঢাকুইর সরদার পাড়া গ্রামে তাইজুর ইসলামের বাগানে গিয়ে দেখা যায়, থাই পিয়ারা গাছের মাঝে মাঝে থাই লেবুর গাছ তার পাশে অন্যান্য গাছগুলো।
এ যেন এক মন ভরানো অপরুপ দৃশ্যের অবতারণা হয়েছে ঢাকুর গ্রামে। সবুজের বুকে অন্যরকম এক সবুজের হাতছানি অপরুপ দূশ্য। তার ফসলি জমিজুড়ে রয়েছে থাই পিয়ারা, লেবু, লিচু ও আম গাছ। তার থাই পিয়ারা চাষ দেখে এলাকার বেশ কিছু বেকার যুবক ও কৃষকরা এ থাই পিয়ারা চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।