প্রকাশিত : ৭ আগস্ট, ২০১৯ ০১:২২

কালাইয়ে জমে উঠেছে কোরবানীর পশুর হাট-বাজার

কালাই(জয়পুরহাট)প্রতিনিধি:
কালাইয়ে জমে উঠেছে কোরবানীর পশুর হাট-বাজার
ছবি: সংগৃহীত

জয়পুরহাটের কালাইয়ে জমে উঠেছে কোরবানীর পশুর হাট-বাজার। অত্র উপজেলায় বেশ কয়েকটি হাট রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য পুনট হাটবাজার, মোলামগাড়ী হাট-বাজার,মোসলেমগঞ্জ হাট-বাজার,বৈরাগীহাট-বাজার,কালাই হাটবাজার,হারুঞ্জাহাটবাজার,,মাত্রাই হাটবাজার,সমশিরা হাটবাজার,বিয়ালা হাটবাজার ছাড়াও শুধু কোরবানীর সময়ই বসে আনুফকির হাট,শাইলগুন হাটবাজার,নুনুজ হাটবাজার,হাতিয়র হাটবাজার। গতকাল সোমবার উপজেলার সর্ববৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী পুনট হাটে সরেজমিন গিয়ে জানাগেছে, প্রচুর পরিমানে কোরবানীর পশু আমদানী হলেও ক্রেতা তুলনামুলক ভাবে অনেক কম ছিল।

বগুড়া-জয়পুরহাট সিএন্ডবি রাস্তার পুনট বাস ষ্টান্ড থেকে ১ কিমি দক্ষিন ধারেই সপ্তাহে সোমবার ও বৃহস্পতিবার ২দিন হাটবার তবে প্রতিদিনই বাজার বসে। আরমাত্র কয়েকদিন পরই মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহৎত্তম উৎসব ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হবে । তাই জয়পুরহাট জেলা সহ পাশ^বর্তী নওগাঁ,বগুড়া,গাইবান্ধা,দিনাজপুর,সিরাজগঞ্জ ও নাটোর জেলার বিবিন্ন উপজেলা থেকে প্রচুর লোকজন তাদের পছন্দের গরু-ছাগল ক্রয়ের জন্য এবং ব্যপারীরাও আসে সৌখিন ও বড় বড় পশুক্রয় করে অধিক লাভের আশায় ঢাকায় নিয়ে যেতে। গরু কিনতে আসা ক্রেতা বাইগুনী গ্রামের অধ্যক্ষ শাহজান আলী(৪৮),আঁওড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম(৫০),কালাই কলেজ পাড়ার আবু বক্কর সিদ্দিক সহ আরো অনেকেই জানান ঈদের আগে বৃহস্পতিবার আরো একটি হাট পাওয়া যাবে তাই অনেকেই এখনো কোরবানী কিনছেনা, আবার গরু-ছাগলের দামও তুলনামূলক বেশী।

প্রতি বছর ব্যাপারীরা ট্রাকে ট্রাকে গরু-ছাগল ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায় তারই ধারাবাহিকতায় গরু কিনতে আসা ব্যাপারী মোজাম্মেল হক(৪৫),রফিকুল ইসলাম(৩৮)সদরুল আলম(৫২) সহ আরো অনেকে জানান অন্যান্য বছরের তুলনায় গরু-ছাগলের আমদানি কম এবং দাম ও অনেক বেশী তাই চাহিদা মত গরু-ছাগল কিনতে পারছিনা। আশাকরি বৃহস্পতিবার হাটে আমদানি আরো বেশী হবে এবং ক্রেতার সংখ্যাও বাড়বে বেচাকিনাও ভাল হবে। গরু বিক্রয় করতে আসা ডিংরাপাড়া গ্রামের খামারী আব্দুল মোত্তালিব(৪৬),পুনট পূর্বপাড়া গ্রামের বুলু মন্ডল(৫৪) সহ আরো অনেকেই জানান, ভারত থেকে গরু আমদানি হওয়ায় আমরা দেশীয় খমারীরা কাঙ্খিত দাম না পেয়ে সহজেই কমদামে গরু বিক্রিয় করতে পারছিনা,আবার বিক্রয় করলে কমলাভে বা লোকসানেও করতে হচ্ছে। হাটের ইজারাদার জানান অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর বেচাবিক্রি অনেক কম ।

গতকাল মঙ্গলবার মোসলেমগঞ্জ হাটবাজার সহ বেশ কয়েকটি হাটে সরেজমিন গিয়ে একই ধরনের দৃশ্য দেখাযায়। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জানান প্রতিটি হাটে গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফাজ উদ্দিন জানান কোন ইজারাদার যেন অতিরিক্ত হারে হাটের টোল অর্থাৎ গরু-ছাগলের ছাপ বোশি আদায় করতে না পারে এবং জাল টাকার ব্যবহার বন্ধেও তদারকি করা হচ্ছে।

 

উপরে