গাইবান্ধায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট
বন্যা কবলিত গাইবান্ধার সাত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। বিক্রি কম হলেও হাটে কোরবানির গরু উঠেছে প্রচুর। তবে প্রতি বছরের মত ভালো দাম না থাকায় হতাশ সাধারণ বিক্রেতা ও ব্যবসায়িরা।
বন্যার ধকল কেটে উঠতে না উঠতেই ঘরের দরজায় কড়া নাড়ছে কোরবানি ঈদ। জেলার ফুলছড়ি, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ, সাদুল্যাপুর, পলাশাড়ি, গোবিন্দগঞ্জ ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় ৩১টি কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে। হাটগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৮টি স্থায়ী ও ১৩টি অস্থায়ী। ইতিমধ্যেই এসব কোরবানির পশুর হাটে ব্যাপকভাবে উঠতে শুরু করেছে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেঁড়া। জেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট সাঘাটার ভরতখালী, সদর উপজেলার মাঠেরহাট, দারিয়াপুর, গোবিন্দগঞ্জের নাকাইহাট, ফাঁসিতলাসহ বিভিন্ন হাটে এবার দেশী গরু, ছাগলের আনাগোনা বেশী। প্রতি বছরের মতো দেখা যাচ্ছে না অন্যান্য ভারতীয় গরু। ভারতীয় গরু হাটে দেখা না গেলেও গরুর দাম অন্যান্য বারের তুলনায় কম হওয়ায় ন্যায্য দাম পাচ্ছে না সাধারণ বিক্রেতা ও ব্যবসায়িরা।
দারিয়াপুর হাটে গরু বিক্রি করতে আসা কুপতলা ইউনিয়নের চাপাদহ গ্রামের নজরুল ইসলাম জানান, আমার এ গরু লালন পালন করতে মোট ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। হাটে ক্রেতারা দাম হাকছে ৯০ থেকে ৯৫ হাজার টাকা। আসল টাকাই নেই। লাভতো দুরের কথা। সর্বশেষ তিনি ১ লাখ ১০ হাজার টাকা হলে গরু বিক্রি করবেন। নয়তো বাড়িতে ফেরত নিয়ে যাবেন।
আরেক গরু বিক্রেতা আয়নাল হক বলেন, ক্রেতাদের রুচি কমে গেছে। এত ভালো মানের গরু দেখেও তাদের মন ভরছে না। ক্রেতাদের দাম বলা দেখে মনে কষ্ট হয়। এত কষ্ট করে গরু পালন করে বাজারে এসে যদি দাম পাওয়া না যায়।তাহলে কষ্ট ছাড়া আর কিছুই না। ক্রেতারা মনে করছে এবারের বন্যার কারণে গরুর দাম কম হবে। কিন্তু বন্যার কারণে গরুকে বেশী দামে খাদ্য কিনে খাওয়া হয়েছে। এটা বুঝে না ক্রেতারা।
দারিয়াপুর হাট ইজারাদার আয়েন উদ্দিন জানান, এ হাটে ক্রেতা এবং বিক্রেতারা যাতে টাকা য়সা নিয়ে নির্বিঘ্নে গরু কেনাবেচা করতে পারে সেজন্য পুলিশি টহল ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুরের ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা আছে। এছাড়া জাল টাকা সনাক্তকরণ ব্যবস্থাসহ আমাদের স্বেচ্ছাশ্রমে হাটের চারপাশে নিরাপত্তা প্রদানের জন্য লোকজন রয়েছে।