হত্যার অভিযোগ কালাইয়ে স্বামী ও কন্যার পৃথক দুটি মামলা
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার মাত্রাই সোনার পাড়া গ্রামে গত ৭ আগস্ট, বুধবার, জমাজমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে খোতেজা বেগম (৫৭) একজন মহিলা খুন হয়। এ ঘটনার পরের দিন ৮ আগস্ট, বৃহস্পতিবার, নিহত খোতেজা বেগমের স্বামী মোজাহার আলী জয়পুরহাট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এবং কন্যা খায়রুন নেছা কালাই থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
মোজাহার আলীর দায়ের করা মামলায় মাত্রাই ইউপি চেয়ারম্যান আ.ন.ম. শওকত হাবিব তালুকদারসহ নাম উল্লেখপূর্বক ২০ জনকে আসামী করা হয়। আর খায়রুন নেছার দায়ের করা মামলায় ওই চেয়ারম্যানসহ আরও কয়েকজনকে বাদ দিয়ে নাম উল্লেখপূর্বক ১৬ জনকে আসামী করা হয়। তবে উভয় মামলাতেই ১৫ জন আসামীর নামের মিল পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে নিহত খোতেজা বেগমের কন্যা খায়রুন নেছা জানান, ঘটনাস্থলে যাদের দেখা গেছে, কেবল তাদেরকেই আসামী করা হয়েছে।
নিহত খোতেজা বেগমের স্বামী মোজাহার আলীর দাবি, মাত্রাই ইউপি চেয়ারম্যান আ.ন.ম. শওকত হাবিব তালুকদার ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে অন্যান্য আসামীদের মারপিট ও খুন-জখমের হুকুম দিয়েছেন। তার হুকুম মতো আসামীরা কোদাল দিয়ে তার স্ত্রীর মাথায় আঘাত করাতেই তার মৃত্যু হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ৭ আগস্ট, বুধবার সকালে মোজাহার আলী, তার দুই ছেলে ওই জমিগুলোর আইল কাটতে যায়। পরে মোজাহার আলীর স্ত্রী খোতেজা বেগমও সেখানে যায়। এরই মধ্যে প্রতিপক্ষ নুরন্নবী, তৈয়ব আলী ও মোফাজ্জল মেম্বার লোকজনসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের কাজে বাধা দেয় এবং বেধরক মারপিট করে এমনকি কোদাল দিয়ে আঘাত করে। এতে খোতেজা বেগম (৫৭), খলিলুর রহমান (৩৬) এবং লুৎফর রহমান (২৮) গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খোতেজা বেগম মারা যায় বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে কালাই থানার অফিসার-ইন-চার্জ মো. আব্দুল লতিফ খান জানান, এ ঘটনায় আদালতের নির্দেশনা মেনে একটি মামলা এজার হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। যার বাদী নিহত খোতেজা বেগমের স্বামী মোজাহার আলী। অপরদিকে, একই ঘটনায় নিহত খোতেজা বেগমের কন্যা খায়রুন নেছা থানায় পৃথক একটি এজাহারের আবেদন করলে, আবেদনটি তার বাবার দায়ের করা মামলার কপির সাথে গেঁথে দেয়া হয়েছে।