প্রকাশিত : ১১ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০৪

অসৎ উদ্দেশ্যে আমার ক্ষতির চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে লিপি - সংবাদ সম্মেলনে শিরু

শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ
 অসৎ উদ্দেশ্যে আমার ক্ষতির চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে লিপি - সংবাদ সম্মেলনে শিরু
বগুড়া শেরপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মেসার্স শিনু ট্রেডার্সের সত্তাধিকারী শফিকুল ইসলাম শিরু সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গতকাল শনিবার (১০আগষ্ট) বিকাল ৩টায় শহরের বারদুয়ারী পাড়ায় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেছেন, আমাকে ও আমার পরিবারকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করে আমার ক্ষতির উদ্দেশ্যে ও আমাদিগকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অসৎভাবে আমার নিকট থেকে অর্থ গ্রহনের জন্য আফরোজা আকতার লিপি সংবাদ সম্মেলন করেছে।
 
সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল ইসলাম শিরু বলেছেন, শেরপুর শহরের উত্তর সাহাপাড়ার পিয়ার আলীর মেয়ে আফরোজা আকতার লিপি গত ৯আগষ্ট সংবাদ সম্মেলনে যে বক্তব্য রেখেছেন তা সম্পুর্নভাবে মিথ্যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। তিনি বলেন, ‘মেসার্স শিনু গ্রুপের মালিক ও বগুড়া জেলা ইটভাটা মালিক সমিতি, শেরপুর শাখার সভাপতি, শেরপুর বাসষ্ট্যান্ড ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও বিভিন্ন সামাজিক ও ব্যবসায়িক সমিতির সাথে জড়িত থেকে সৎপথে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা পরিচালনা ও সরকারকে লক্ষ লক্ষ টাকা আয়কর ও ভ্যাট প্রদান করিয়া সমাজে আমার যথেষ্ট সুনাম, সুখ্যাতি ও সামাজিক মান মর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তি পরিচিত হয়েছে।
 
এ সুনাম ও সুখ্যাতিতে ঈর্ষান্মিত হয়ে শেরপুর উত্তরসাহাপাড়া ঘোষপাড়া সাকিনের পিয়ার আলীর কন্যা মোছা. আফরোজা আকতার লিপি একজন বহু বিবাহকারিনী, অর্থলোভী ও দুর্দান্ত প্রকৃতির মহিলা আমার কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার মানষে নানা ষড়যন্ত্র ও প্রতারণামুলক কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়েছে। 
 
এরই ধারাবাহিকতায় এক পর্যায়ে আফরোজা আকতার লিপি আমার ব্যবসায়িক শত্রুস্থানীয় লোকের চক্রান্তে তাহার স্বভাব সুলভ আচরনে ছলনার মাধ্যমে আমাকে প্রেমে ফাসাঁইতে ব্যর্থ হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগে ৬৬/১২ (নারী ও শিশু) নং একটি মিথ্যা মামলা করলে বিজ্ঞ আদালত হতে আমি অব্যাহতি পাই। কিন্তু সে একের পর এক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে এবং পরবর্তীতে সে আমার বিরুদ্ধে মোহরানা ও খোরপোশের দাবী করে পারিবারিক আদালতে ৩১/২০১৫ পারিঃ মামলা ও তাহার গর্ভজাতপুত্র সোয়াত ইসলাম পিতৃত্বের দাবীতে ১২৪/২০১৫ অন্য মামলা দাখিল করে।
 
উক্ত ৩১/১৫ পারিবারক মামলা ও ১২৪/১০১৫ অন্য মামলা চলাকালে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগন মধ্যস্থতা করিয়া উক্ত মামলা ২টি স্থানীয়ভাবে আপোষ মীমাংসা করে দিলে ওই আফরোজা আকতার লিপিকে তাহার গর্ভজাত পুত্র সোয়াত ইসলাম সায়ানের ভরণপোষণ ও লেখাপড়ার খরচ বাবদ নগদ ২৭ লক্ষ টাকা প্রদান করলে সে উপরোক্ত ৩১/১৫ পারিবারিক ও ১২৪/২০১৫ অন্য মামলাগুলো প্রত্যাহার করে নেয় ।
 
তারপরে মামলাগুলো প্রত্যাহার করার পর আমি পিতামাতাহীন আফরোজা আকতার লিপিকে সামাজিক শৃংখলার্পুণ জীবনে ফিরে আনার জন্য মানবিক দিক বিবেচনা করে শরা শরিয়াতের বিধানমত ১ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্যে বিয়ে করি এবং তার সাথে স্বামী স্ত্রী রুপে ঘরসংসার করতে থাকি। কিন্তু লিপি তার স্বভাব চরিত্র পরিবর্তন না করায় ও আমার স্ত্রী হওয়া স্বত্তেও বিভিন্ন ব্যক্তির সহিত পরকীয়া সর্ম্পক চালাইয়া আসতে থাকে এবং মাঝে মধ্যেই সে আমার কাছ থেকে ১ লাখ/২ লাখ টাকা দাবী করে ঝগড়া ফ্যাসাদ করত।
 
তার বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে পরকীয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে তাকে সংশোধনের হতে বলায় সে খারাপ আচরণ করত। এর প্রেক্ষিতে আমি গত ২০ জুন শেরপুরের উত্তরসাহাপাড়া আফরোজা আকতার লিপির বাসাতেই ২ জন স্বাক্ষীর সামনে তাকে তালাক দেই।
 
তাকে তালাক দেয়ায় আরো ক্ষিপ্ত হয়ে নতুনভাবে আমাকে ফাসানো ও হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ওইদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে শেরপুরের ঢাকা বাসষ্ট্্যান্ডের আমার জীপ গাড়ী থামাইয়া শেরপুর বাসষ্ট্যান্ড ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হিরুর সাথে কথা বলার গেলেই আফরোজা আকতার লিপি, তার বোন বিউটি খাতুন, ভগ্নিপতি আসাদুল ইসলাম, লিপি পুর্বের স্বামী মনিরুল ইসলামে ছেলে রিমনসহ লিপি আমাকে টানা হেচড়া করে জীপগাড়ি থেকে নামায় এবং পরণের পাঞ্জাবী ছিড়ে ফেলে, এলোপাথারীভাবে চরথাপ্পড় মেরে স্থানীয় উপস্থিত লোকজনের সামনে বেইজ্জতী করে মানহানী ঘটায়।
 
সংবাদ সম্মেলনে শিল্পপতি শফিকুল ইসলাম শিরু আরো বলেন, ইতিপূর্বে ওই আফরোজা আকতার লিপি সুন্দরী হওয়ার কারণে তাহার রূপযৌবনে আকৃষ্ট করে প্রথমে মনিরুল হাসান নামে এক ধনাঢ্য ব্যক্তিকে বিয়ে করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাকে তালাক করে। তারপরে সে জাহিদুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে বিবাহ করে এবং তার কাছ থেকেও মোটা অংকের টাকা নিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদ করে পুনরায় পুর্ব স্বামী মনিরুল হাসানকে পুনরায় বিয়ে করে মনিরুল হাসান নামের এক সন্তানের জম্ম দিয়ে আবারও মোহরানার টাকা নিয়ে বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটায়।
 
এরপর লিপি মিলন মিয়া, জয়নাল আবেদীনের সাথে বিয়ে করে তাদের সাথেও অর্থ প্রতারণা করে। অনুরুপভাবে ওই সমাজ ঘৃনিত লিপি আবারও আমার কাছে অবৈধভাবে সুবিধা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে আমাকে ও আমার স্ত্রী শামীমা ইসলামকেও আমার বিবাহিতা কন্যা শাম্মী আকতার শিনুকে জড়িয়ে মিথ্যাভাবে অভিযোগের মাধ্যমে জনৈক কামাল হোসেনকে বলির পাঠা বানিয়ে ষড়যন্ত্রমুলকভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করছে সে।
 
সংবাদ সম্মেলনে প্রকৃতপক্ষে উক্ত আফরোজা আকতার লিপির মিথ্যা ভিত্তিহীন, বানোয়াট, মানহানিকর এবং আমাকে ভবিষ্যতে বেকায়দায় ফেলার জন্য অসৎ উদ্দেশ্যে ও আমার চরমক্ষতি করার উদ্দেশ্যে হয়তো নতুন কোন গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় এবং লিপির মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনে তীব্র প্রতিবাদ জানানো সহ তার পরিবারের লোকজনের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান ওই শিল্পপতি । 
উপরে