র্যাবের গাড়ীতে হামলাকারী সন্ত্রাসী কালু মিলনের খুটির জোর কোথায়?
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার একাধিক সন্ত্রাস সহিংসতা ও নাশকতা মামলা আসামী কালু মিলন ও গুন্ডা মিলনের অত্যাচারে অতিষ্ট স্থানীয় সাংবাদিক সমাজসহ সাধারন মানুষ।তার অত্যাচারে সবচেয়ে বেশি আতংকিত পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদে বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
তার হাতে আহত হয়েছেন বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার তোফাজ্জল হোসেন, উপজেলা পরিষদের অফিস সহকারী আনোয়ার হোসেন খোকন, এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল।আদালত থেকে জামিনে বেড়িয়ে এসে এর পর সে হামলা চালায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের অফিস সহকারী জাফরুল ইসলামের উপর সে ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের হয়।সম্প্রতি জামিনে এসে সে আবারো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। মাদক সেবনকারী মিলন ওরফে গুন্ডা মিলন সম্প্রতি গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্নসমর্পন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি দিলে ও বাস্তবে তার কোন পরিবর্তন হয় নি!
গত কয়েক দিন আগে সাদুল্যাপুর উপজেলার এক কলেজ ছাত্রী কে অপহরন করে এনে জোর পুর্বক বিয়ে করে।ঘটনার একদিন পর ঐ ছাত্রীর অভিভাবকরা থানায় অভিযোগ করে তার মেয়েকে উদ্ধার করে।
সাংবাদিকরা এ বিষয়ে বিভিন্ন অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ করলে সে সাংবাদিকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে পলাশবাড়ী উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে ফেসবুকে আপত্তি কর সংবাদ প্রকাশ করে।এসময় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়।
সম্প্রতি আনন্দ টেলিভিশনের গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক আশরাফুল ইসলামকে গনধোলাই করার জন্য ফেসবুকে বিভিন্ন উস্কানিমূলক পোষ্ট দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে।এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানা ও র্যাব কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করবেন বলে সাংবাদিক আশরাফুল ইসলাম জানান।
সন্ত্রাস, নাশকতা,ছিনতাই চাদাবাজি র্যাবের গাড়ী ভাংচুর ও র্যাবের উপর হামলার ঘটনাসহ প্রায় এক ডজন মামলার আসামী কালু মিলন ওরফে গুন্ডা মিলন পলাশবাড়ী উপজেলার সাধারন মানুষের কাছে আতংকের কারন হয়ে দাড়িয়েছে।
আর কোন সরকারি কর্মকর্তা, আর কোন সাধারন মানুষ,আর কোন সাংবাদিক যেন এই মিলনের হাতে লাঞ্চিত না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে সচেতন মহল পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সি সার্কেল, র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন র্যাব গাইবান্ধা ইউনিটের সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।