প্রকাশিত : ১৭ আগস্ট, ২০১৯ ০৫:৫৭

পাঁচবিবি সীমান্তে চামড়া পাচার রোধে কঠোর নজরদারি

পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:
পাঁচবিবি সীমান্তে চামড়া পাচার রোধে
কঠোর নজরদারি

কোরবানির পশুর চামড়া কিনে বিপাকে পড়েছে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা। গ্রাম থেকে চড়া দামে পশুর চামড়া কিনে হাটে বিক্রি করার সময় পশুর চামড়ার দাম কমে যাওয়াতে বিপাকে পড়েছে তারা। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, হাটে পাইকার না থাকায় এমন সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাদের।
 
এবছর বাংলাদেশের চেয়ে ভারতে কোরবানি পশুর চামাড়ার দাম বেশি হওয়ায় অবৈধ পথে ভারতে চামড়া পাচার না হয়, এজন্য উপজেলার আটাপাড়া, চেঁচড়া, কড়িয়া হাটখোলা ও কয়া সীমান্ত এলাকা সহ গুরত্বপূর্ণ ও অরক্ষিত পয়েন্ট গুলোতে কঠোর নজরদারি শুরু করেছে বিজিবি। বাড়তি সতর্কতার পাশাপাশি জোরদার করা হযেছে টহল দলের পাহারা।
 
এবিষয়ে জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল রাশেদ মো. আনিসুল হক এই প্রতিবেদককে জানায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ও বিজিবি হেডকোয়ার্টারের নির্দেশে সীমান্তের চোরায় পথ দিয়ে কোনোভাবে যাতে চামড়া পাচার না হয়, এজন্য সীমান্ত এলাকায় বিশেষ নজরদারি রাখা হয়েছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিঁনি। 
 
ঈদে পাঁচবিবিতে কোরবানি গরুর চামড়া ১৫০-৪৫০ টাকায় ও ছাগলের চামড়া ৫০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। গত বছর গরুর চামড়া ৫০০- ৯৫০ টাকায় ও ছাগলের চামড়া ১৫০-২৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
উপজেলার ঢাকারপাড়া গ্রামের জামে মসজিদের মোয়াজ্জেম তরিকুল ইসলাম বলেন, কোরবানির পশুর চামড়ায় গরীব-অসহায়দের হক রয়েছে। কোরবানির চামড়ার দাম কম হওয়ায় এবার গরীব- অসহায়রা বঞ্চিত হচ্ছেন। আর মাঝখান থেকে লাভবান হচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীরা।
 
চামড়ার বাজারে এমন ধস দেখে কোরবানির চামড়া বিক্রি না করে স্থানীয় মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দান করছেন অনেকে। প্রতিবছর চামড়া খাত থেকে মোটামুটি টাকা আয় হত মাদ্রাসা ও এতিমখানায়। যা দিয়ে মাদ্রাসা-এতিমখানায় প্রাতিষ্ঠাণিক উন্নয়ন কাজে ব্যয় করা হত। চামড়ার দাম কম হওয়াতে সেদিক থেকেও বঞ্চিত মাদ্রাসা ও এতিমখানা গুলো।

 

উপরে