বগুড়া আরডিএর নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়,গত মার্চে বিসিএস ক্যাডার বিভিন্ন ব্যাচের ৬ মাসব্যাপী বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ শুরু হয়। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর প্রশিক্ষণের সমাপনী হওয়ার কথা। সেখানে অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বগুড়ার শিবগঞ্জ সার্কেলের এএসপি ৩৪তম বিসিএস ক্যাডার কুদরত-ই-খুদা শুভ অংশ নেন।

এ প্রশিক্ষণ চলাকালে তার বিরুদ্ধে শৃংখলা ভঙ্গের নানা অভিযোগ ওঠে।দেরিতে আসার ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি এক আনসার সদস্যকে গালিগালাজ,মাদক দিয়ে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি ও তদবিরের মাধ্যকে তাকে বদলি করান। এরপর ঐ আনসার সদস্যর বাড়িতেও পুলিশ পাঠানো হয়।এএসপি শুভর বিরুদ্ধে(আরডিএ) কর্মচারীদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ আছে।

আরডিএ বগুড়ার মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এম আমিনুল ইসলাম এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,বুনিয়াদী প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া এএসপি শুভর বিরুদ্ধে ৫টি সুনির্দিষ্ট 
শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগ আছে। ৩ সদস্যের শৃংখলা কমিটির সুপারিশে তাকে এক বছরের জন্য প্রশিক্ষণ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তিনি বলেন,তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া যেত ! তবে অন্য প্রশিক্ষণার্থীদের সতর্ক করতে তাকে লঘু শাস্তি দেয়া হয়েছে।তবে তিনি বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষক কেন্দ্রে এ শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন।

এদিকে জানাগেছে,এএসপি শুভর বিরুদ্ধে বগুড়া পুলিশ লাইন্সে এক ব্যবসায়ীকে পেটানোর অভিযোগও রয়েছে।
বগুড়ায় বিনা অপরাধে আহম্মেদ সাব্বির নামে এক সরবরাহকারীকে পুলিশ লাইন্সের অফিসার্স মেসে ডেকে নির্দয়ভাবে লাঠিপেটা করেন।

বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা জানান, এএসপি শুভকে বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ থেকে বহিষ্কারের কথা শুনেছেন।
তবে, এটা প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। ব্যবসায়ী আহম্মেদ সাব্বিরকে মারপিটের ঘটনায় এএসপি শুভর বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কী না এমন প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ সুপার বলেন, তদন্ত কমিটির রিপোর্টপাঠানো হয়েছে পুলিশ 
হেডকোয়ার্টারে।

তবে এএসপি শুভ দাবি করেছেন,বাবা অসুস্থ তাই অব্যাহতি নিয়েছেন; কেউ তাকে বহিষ্কার করেনি।