প্রকাশিত : ২১ আগস্ট, ২০১৯ ০৮:৪৮

পাঁচবিবিতে শিক্ষকের হাতে ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগ

পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:
পাঁচবিবিতে শিক্ষকের হাতে ছাত্রী
নির্যাতনের অভিযোগ

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার জীবনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী আয়শা সিদ্দিকাকে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে বেত্রাঘাতের দ¦ারা নির্যাতন করে স্কুল পরিত্যাগের ছাড়পত্র দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান ও সহকারী শিক্ষক সামছুল হকের বিরুদ্ধে। সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, বাবা-মা দু’জনেই থাকে ঢাকা গার্মেন্টেসে। সমাজের আর দশ জনের মত ধনী ব্যাক্তি না হওয়ায় আদরের একমাত্র মেয়েকে শহরের নামি-দামি স্কুলে ভর্তি কারাতে পারেনি উপজেলার পাকুরিয়া গ্রামের হতদিরদ্র পিতা সানোয়ার হোসেন।

তাই তিঁনি মেয়ে আয়শাকে দাদির কাছে রেখে জীবন পুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করাতেন। নিজে দিন রাত পরিশ্রম করে শরীরের ঘাম ঝড়া টাকা উপার্জন করে স্বপ্ন দেখতেন আদরের মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা একদিন লেখাপড়া করে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবে। কিন্তু পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে একই গ্রামের শিক্ষক সামছুল হক অন্যায় ভাবে আয়শাকে নির্যাতন করে প্রধান শিক্ষকের সহযোগীতায় স্কুল পরিত্যাগের ছাড়পত্র দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেয়। শিক্ষকের এমন অনৈতিক আচরণে স্কুলে যেতে না পারায় ও লোক লজ্জায় একাধিকবার নিজেই নিজের জীবন শেষ করার সিদ্ধান্ত নেয় সে। আয়শা সিদ্দিকা সাংবাদিকদের কান্না জরিত কন্ঠে বলেন, স্কুল ছুটির ২ঘন্টা পর আমি প্রাইভেট শেষে বাড়ির ফেরার পথে আসার সময় আমার সহপাঠী পিছন থেকে আমার ঘাঁড়ে হাত দিয়ে ডেকে বলে এই শোন তোর একটা বই ভূল করে রেখে এসেছিস কেন? এই বলে আমরা গল্প করতে করতে বাড়িতে আসি। এসময় রাস্তা দিয়ে আসার সময় আমাদের গ্রামের শিক্ষকও বাড়ি আসতেছিলো।

পরের দিন আমি তিনটি ক্লাস করার পরে আমাকে রুমে ডেকে নিয়ে বেত্রাকাঘাত করে শারীরিক নির্যাতন করতে থাকলে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। পরে জ্ঞাণ ফিরলে দেখি বাড়িতে শুয়ে আছি। আর পরিবারের লোকজন বলে তোকে স্কুল থেকে বের করে দিয়েছে। সঙ্গে ছেলেটিকেও টিসি দিয়েছে। আয়শা বলেন, আমি কোন অন্যায় করিনি আমি এর বিচার চাই। আমি আবার স্কুলে গিয়ে লেখাপড়া করতে চাই। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও ক্যামেরার সামনে কথা বলতে চাননি তিনি। তবে টিসি দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, ছেলেটির বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। প্রতিষ্ঠনের সম্মান বজায় রাখতে তাকে সাময়িক টিসি দেওয়া হয়েছে এবং তাদের অভিভাকদের বলা হয়েছে আপনারা পরে স্কুলে এসে আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন তাদের পরিক্ষা দেওয়ার সবরকম ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। এদিকে টিসি দেওয়ার বিষয়ে কোন কিছু জানেন না বলে জানায় অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতি হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, যদি অন্যায় ভাবে তাদেরকে স্কুল পরিত্যাগের ছাড়পত্র অথবা নির্যাতন করে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়। তাহলে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

উপরে