প্রকাশিত : ২১ আগস্ট, ২০১৯ ০৯:০০

বগুড়ায় কোরবানীর পশুর কাঁচা চামড়া বিক্রি শুরু

বকেয়া ৩০ কোটি টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা
এইচ আলিম
বগুড়ায় কোরবানীর পশুর কাঁচা চামড়া বিক্রি শুরু

বগুড়ায় কোরবানীর দিন সংগ্রহীত পশুর কাঁচা চামড়া বিক্রি শুরু হয়েছে। পুরোদমে বিক্রি শুরু না হলেও দুই একটি ট্রাকে করে চামড়া বিক্রি শুরু হয়েছে। বকেয়া প্রায় ৩০ কোটি টাকা দেয়ার আশায় বগুড়ার আড়তদাররা ঢাকার ট্যানারী মালিকদের কাছে এই চামড়া বিক্রি শুরু করেছে। 

জানা যায়, এবছর জেলা শহরের গরুর চামড়া প্রতি বর্গফুট ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, খাসির চামড়া ১৮ থেকে ২০ টাকা, বকরির চামড়া ১৩ থেকে ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সরকারিভাবে চামড়ার দাম বেঁধে দেয়া হলেও বগুড়ায় সেটা মানা হয়নি। ইচ্ছে মাফিক দামে কেনাবেচা হয়েছে কোরবানীর চামড়া। 

বগুড়ার চমড়ার বাজার হিসেবে খ্যাত জেলা শহরে বাদুরতলা এলাকা ঘুরে জানা গেছে, কোরবানীর পশুর চামড়ার বাজারে দামের দিক থেকে ছিল ধস। বগুড়া জেলা শহর ও উপজেলা পর্যায় থেকে সর্বত্র ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ৫০ টাকা করে। আর গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। দিনে চামড়ার দাম থাকলেও সন্ধ্যায় খাসির চামড়া বিক্রি হয়েছে ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা করে। 

বগুড়া জেলার কয়েকজন চামড়া ব্যবসায়িদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ বছর ২০১৯ সালে কোরবানী পশুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ৬০০ টাকায়। এর নিচে বিক্রি হয়েয়েছে ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকায়। দুপুরের পর সময় যতই গড়েছে কোরবানীর পশু চামড়ার দাম ততই কমেছে। সন্ধ্যায় জেলায় চামড়া কেনাবেচা হয়েছে ১০০ টাকায়। কোথাও বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে। 

বগুড়া জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রফিকুল ইসলাম তালুকদার জানান, এবছর গরু ২ লাখ ৯৩ হাজার ৬২টি, মহিষ ২ হাজার ৪৮টি, ছাগল দেড় লক্ষাধিক, ভেড়া সাড়ে ২৬ হাজার নিয়ে মোট গবাদিপশু ছিল ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৮০৮টি। এরমধ্যে এবছর কোরবানী প্রদান হয়েছে ৩ লাখ ২৬ হাজার ৬৮৯টি। এরমধ্যে গরু ছিল ১ লাখ ৯৫ হাজার। ছাগল ছিল ১ লাখ ৯ হাজার। ভেড়া ছিল ২২ হাজার ৪২১টি। মহিষ ছিল ২৬৮টি। 

বগুড়া জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুুল মতিন সরকার জানান, ঢাকার ট্যানারী মালিকদের সাথে ১৮ আগস্ট বৈঠক হয়েছে। এরপর আগামী ২২ আগস্ট আবারো বৈঠক হবে। বৈঠকের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে বগুড়ার ব্যবসায়িদের পাওনা প্রায় ৩০ কোটি টাকা কবে এবং কিভাবে পাওয়া যাবে। পাওনা টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়ায় বগুড়ার আড়তদাররা কাঁচা চামড়া বিক্রি শুরু করেছে। এ পর্যন্ত কয়েক ট্রাক কাঁচা চামড়া ঢাকায় গিয়েছে। আরো কিছু যাবে। চামড়ায় লবন দিয়ে প্রায় ২ থেকে আড়াই মাস রাখা যাবে। 

উপরে