প্রকাশিত : ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০৫:৩৯

গোবিন্দগঞ্জে ১৪০ বছর বয়সেও মিলেনি বয়স্ক ভাতা

ষ্টাফ রিপোর্টার
গোবিন্দগঞ্জে ১৪০ বছর বয়সেও মিলেনি বয়স্ক ভাতা

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে প্রবীন ব্যাক্তি আব্দুস ছোবাহান মুন্সী (১৪০) বছর বয়সেও মিলছে না তার বয়স্ক ভাতা। অসহায় হত দরিদ্র মানুষটি আজ বয়সের ভারে বিছানা শয্যায়। পারিবারিক জীবনে ৩ ছেলে ৫ মেয়ে সন্তানের বাবা। জীবনসঙ্গীনি ১৫ বছর আগে তাকে ছেড়ে চলে গেছে না ফেরার দেশে। ছেলে মেয়ে এবং নাতিরা তার খোঁজখবর রাখছেন। এ বয়সে কথা না বলতে পারলেও ফিস ফিস করে যা বললেন জনপ্রতিনিধিদের কথা, ইউ’পি চেয়ারম্যান, মেম্বরদের টাকা না দিলে ভাগ্যেজোটেনা ভাতার কার্ড।

তিনি, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের জীবনপুর গ্রামের মৃত-খাঁন মাহমুদ মুন্সীর ছেলে। এ সর্ম্পকে মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মুন্সী রেজুওয়ানুর রহমান বলেন, জেলার সবচাইতে বয়সে প্রবীন ব্যাক্তির এই পরিবারটি আওয়ামী লীগের পরিবার। আওয়ামী রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের বয়স্ক ভাতা থেকে এ প্রবীন ব্যাক্তিকে বঞ্চিত করা হয়েছে। 
এ পরিবারটির দাবী অনেক চেয়ারম্যান, মেম্বরকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলেও তারা সরকারের কোন সহযোগিতা পায় না। ভাতা কার্ডের কথা চেয়ারম্যান, মেম্বরের কাছে বললে টাকার বিষয় আসে। তবে টাকা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন দেশে ভাতার কার্ড নিতে চান না প্রবীন ব্যাক্তি আব্দুস ছোবাহান মুন্সী।তবে স্থানীয় সচেতন মহলের দাবী প্রবীন এ ব্যাক্তিকে বয়স্ক ভাতা কার্ডের আওতায় নিয়ে আসার জন্য উপজেলা ও জেলার সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেন। 

উপরে