শতবিঘা বাগড়া দিঘি'কে কেন্দ্র করে দন্দ চরমে!

বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলায় বাগড়া মৌজার শতবিঘা দিঘি'কে কেন্দ্রকরে দন্দ দীর্ঘ সুত্রতায় পৌছেছে। জানাগেছে উপজেলার,শত বিঘা এই সম্পতি গত ২০০০ ইং সালে বাংলাদেশ সরকার খাস খতিয়ান হিসেবে সৃজন করে। পরবর্তীতে আর এস রেকর্ডমূলে শত বিঘা সম্পতিটি খাস খতিয়ানে নথিভূক্ত করা হয়। তৎকালীন সময় বরেন্দ্র স্যানাল বাদী হয়ে রাষ্ট্রকে বিবাদী করে বগুড়া আদালতে মামলা করলে রাষ্ট্রপক্ষ মামলায় হেরে যায়।পরবর্তীতে রাষ্ট্রপক্ষ মহামান্য হাইকোর্টে আপিল করলে সেখানেও রাষ্ট্রপক্ষ হেরে যায়। পুনরায় রাষ্ট্রপক্ষ মহামান্য সুপ্রিমকোর্ট আ্যপিটেড ডিভিশনে আবেদন করেন। আ্যপিটেড ডিভিশনে আবেদনটি অদ্যবধি চলমান রয়েছে।
সরেজমিনে বাগড়া দিঘী পরিদর্শনে দেখাযায়, দিঘির চারপাশের পাড়ের ওপর দুইশাতাধিক ভূমিহীন পরিবার রয়েছে। দিঘির আশপাশের জনসাধারন সুত্রে জানা যায়,দিঘীর পাড়ের ভূমিহীনরা বিগত ২৫-৩০ বছর যাবৎ বসবাস করছে। এলাকা বাশীসুত্রে আরো জানায়ায় গত ৬-৭ বছর আগে দিঘী কে কেন্দ্র করে জহুরুল ইসলাম মন্ডল নামক একজন কে হত্যা করা হয়েছিল। ঘটনার জেরে বরেন্দ্র স্যানাল পুনরায় সহকারী জজ আদালত বগুড়ায় মামলা করলে আদালত কর্তৃক স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা,উভয় পক্ষকে স্হিতিশীল থাকার নির্দেশনা (ষ্ট্যাটাসকো) প্রদান করে রায় প্রকাশ করেন।
এদিকে ভূমিহীন মোঃ জিল্লুর রহমান, মোছাঃ সুফিয়া বেগম, মোঃ মোখলেছ ও মোছাঃ আনোয়ারা বেগম আভিযোগ করে বলেন এখন আবার নতুন করে একটি প্রভাবশালী মহল অবৈধ ভাবে দিঘির দখল নেয়ার চেষ্টা করছে, আমরা নদীভাঙ্গনের কবলে পরে সব হারিয়ে দিঘীর পাড়ে বসতি গরেছি। আমাদেরকে উচ্ছেদ করতে ক্ষমতাশীনদের নাম ভাঙ্গিয়ে নামধারী সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের ঘরবাড়ি ভাংচুর ও দিঘির পাড় ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হুমকি ধামকি প্রদান করছে। তারা বলেন,প্রতিবাদ করতে গেলে আমাদের মারধর করা হচ্ছে।
দিঘির পাড়ের বাসিন্দা ভূমিহীন মোঃ শিপন পিতা- রবিউল অভিযোগ করে বলেন বরেন্দ্র স্যানালের সন্ত্রাসী বাহিনী কয়েকদিন যাবৎ আমাদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। আমি (শিপন) প্রতিবাদ করলে হঠাৎ রবিবার সকালে চিন্হিত সন্ত্রাসীরা আমার বাড়িতে আক্রমন করে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। দিঘীর পাড়ের বেশ কয়েকজন ঘটনার সত্যতা স্বিকার করেছেন।
এ বিষয়ে বরেন্দ্র স্যানালের বক্তব্য জানতে তার পরিবারের সাথে যোগাযেগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়াযায়নি।অগ্নিসংযোগ-ভাংচুরের বিষয়ে জানতে চাইলে শেরপুর থানার আফিসার ইন্চার্জ জনাব হুমায়ূন কবির বলেন শিপনের বাড়ি ভাংচুর ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।শত বিঘা বাগড়া দিঘী সম্পর্কে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব লিয়াকত আলী শেখ বলেন, আদালতের রায় উপেক্ষা করে কেউ দখলে যেতে পারে না, অবশ্যই আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।