প্রকাশিত : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ২০:৪১

শিক্ষক কর্তৃক অনুশাষনের নামে মানসিক নির্যাতন!

নাজমুস সাকিব আপেল (ষ্টাফ রিপোর্টার)
শিক্ষক কর্তৃক অনুশাষনের নামে মানসিক নির্যাতন!

জেলার শেরপুর উপজেলার শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা শাহ আলম এর ছেলে তানজিমুল ইসলাম প্রতিদিনের ন্যায় গত বুধবার শেরউড ইন্টারন্যাশযনাল স্কুল এ অষ্টম শ্রেনীর নিয়মিত মডেল টেস্ট পরীক্ষায় অংশ নেবার জন্য যায়। স্কুলে যাবার সময় সে মোবাইল সঙ্গে নিয়ে যায়। মোবাইল নিয়ে যাওয়ার অপরাধে এ সময় ক্লাস পরীক্ষার শিক্ষক তানজিমুল ইসলামকে নোংরা ভাষায় ভর্ৎসনা করেন এবং পরীক্ষার হল থেকে ঘাড় ধরে বের করে দেন।

সেই সাথে তাকে চুড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে দেয়া হবেনা মর্মে সাফ জানিয়ে দেন।এতে তানজিমুল ইসলাম অনুসূচনায় মনের দুঃখে ক্ষোভে বিদ্যালয়ের ছাদে গিয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে সেখানে অজ্ঞান হয়ে যায়। ওই দিন বিদ্যালয় ছুটির পর সহপাঠিরা তাকে খুঁজতে থাকে।পরে বিদ্যালয়ের একজনের সহযোগিতায় তাকে ছাদ থেকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার অবস্থার অবনতিতে তাকে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।শেরপুরে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শেরউড ইন্টারন্যাশনাল (প্রা:) স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষকদের দায়িত্বহীনতা মানসিক নির্যাতন ও কর্তব্য অবহেলায় স্কুল শাখার অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র তানজিমুল ইসলাম শিক্ষক কর্তৃক মানষিক নির্যানতের স্বিকার হয়ে এমনটি ঘটিয়েছে বলে যানা গেছে।

অনুসন্ধানে এ বিদ্যালয়ের কয়েকজন সাবেক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে স্বজনপৃতী, আত্মীয়করন,দলীয়করনের অভিযোগ নিশ্চত হওয়া গেছে। সাবেক শিক্ষার্থী সাদিক সরকার,রিফাত সরকার সহ কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন মোবাইল ফোনের জের ধরে এস এস সি টেষ্ট পরিক্ষায় ইচ্ছা করে ফেল করিয়ে দেন,এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে পরিক্ষায় নাম্বার কম দেয়ার কথা জানান সেই সাথে তারা আরো বলেন আমাদের গাধা ছাএ আখ্যা দিয়ে টি সি দিলেও আল্লাহর রহমতে আমরা অন্য বিদ্যালয় থেকে পরিক্ষা দিয়েও এ প্লাস পেয়ে পাশ করেছি। অপর একজন অভিভাবক অভিযোগ করে বলে  এ বিদ্যালয়ে জাতীয় সঙ্গীত চর্চা করা হয় না এবং নিয়মীত পিটি-প্যারেট করানো হয় না।

এদিকে, ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে জানানো হয়েছে শিক্ষকের অশালিন আচরন ও আর স্কুলে পড়াশোনা করতে পারবেনা এ ভয়ে সে বিদ্যালয়ের ছাদেই অচেতন হয়ে পড়ে। যার পরে আর কোন শিক্ষক তার কোন খবর নেননি। তারা আরো জানান, সহপাঠিরা তার খোজ না নিলে এ ঘটনা আরেকটি ছুটির ঘন্টার করুন কাহিনীতে রুপ নিত পারতো। সহপাঠিদের সহযোগিতায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দায়সাড়া ভাবে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়েই তাদের দায়িত্ব শেষ করে।পরে হাসপাতালের কোন এক মাধ্যমে পরিবারকে ঘটনাটি জানানো হয়।

এ ব্যপারে শেরউড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালনা কমিটির পক্ষে  শফিকুল ইসলাম বাবুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার আংশিক অস্বিকার করে তিনি বলেন তাসলিমুলের উন্নত চিকিৎসার খোজখবর নিয়েছি।তবে, তানজিমুলের পিতা শাহ আলম বলেন-বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোন খবর নেননি। এমন কি তারা আমার সন্তানকে লুকিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়ে পরিবারকেও জানানোর প্রয়োজনও মনে করেনি।

উপরে