প্রকাশিত : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ২১:০০

বিধবা সাবিত্রী'র ঘরবাড়ী ভাংচুর

১৫ দিনেও আইন প্রয়োগ দৃশ্যমান হয়নী !
নাজমুস সাকিব আপেল (ষ্টাফ রিপোর্টার)
বিধবা সাবিত্রী'র ঘরবাড়ী ভাংচুর

অনুসন্ধানে জানা যায়,বগুড়া'র শেরপুর রণবীর বালা মৌজার সাবেক-৯৮, হাল-১৫৯ নং দাগের সম্পত্তি,১০১ সিএস মূলে মালিক থাকা অবস্থায় মুকুন্দ ঋষি মৃত্যুবরণ করেন এবং কোনো পুত্র সন্তান না থাকায় তাহার ত্যাক্ত সম্পত্তি মেয়ে পূর্ণদাসী ও তার স্বামী নিতাই ঋষির নামে এম আর আর ৭৭ নং খতিয়ানে নথিভুক্ত হয় এবং বংশানুক্রমে বতর্মানে রবিন দাস ও তার বিধবা ভাতিজি সাবিত্রী তার দুই এতিম ছেলেকে নিয়ে ভোগ দখল করে আসছে। 

কিন্তু রবিন চন্দ্র দাস এবং তার ভাতিজি সাবিত্রী অসহায়, গরীব হওয়ায়, মৃত কমোদ চন্দ্র দাসের ছেলে ভূমিদস্যু দখলবাজ শ্রী বিশ্বনাথ দাস ওরফে বিশার কূ-দৃষ্টি পড়ে ঐ জায়গার উপর। লোভের বশবর্তী  হয়ে ২০১৭ ইং সালে বগুড়া অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৭২নং মোকদ্দমায় বাদী হয়ে মামলা করে। মামলা চলাকালে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজনীয় নথিপত্র হাজির করার আদেশ জারি করলে ভূমিদস্যু শ্রী বিশ্বনাথ দাস ওরফে বিশা আদালতে বৈধ নথিপত্র হাজির করতে ব্যর্থ হয় এবং  মামলায় হেরে যাওয়ার আশঙ্কায় স্ব-ইচ্ছায় ১লা জুলাই ২০১৮ইং তারিখে মামলা তুলে নেয়।

জানা গেছে, রণবীর বালা ঘাটপার নিশিপাড়ায় বসবাসকারী অসহায় বিধবা নারী সাবিত্রী দাসের বসতবাড়ি,ঘর সহ ব্যবহৃত আসবাবপত্র এবং পানির কল ও ল্যাট্রিন পর্যন্ত ভেঙ্গে চুড়ে সেখানে রাধাগোবিন্দের মূর্তি স্থাপন করেছে। পরবর্তীতে খগেন চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী সুভাষ চন্দ্র দাসকে দিয়ে শেরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু ভূমিদস্যু বিশ্বনাথ এবং সুভাষচন্দ্র নথিপত্রের অভাবে কোন সুরাহা না পেয়ে জমির প্রকৃত মালিক রবিন চন্দ্র দাসকে এবং সাবিত্রীকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি সহ হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই প্রেক্ষিতে বেশ কয়েক দফায়  এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।

অত্পর,এলাকার ভূমিদস্যু দখলবাজ খ্যাত শ্রী বিশ্বনাথ ওরফে বিশা ঐ সম্পত্তি তার নিজের বলে দাবী করে।গত ৩০শে আগষ্ট ২০১৯ইং সালে দুপুরে রাধাগোবিন্দ মন্দিরের নাম করে এলাকার কিছু ধর্মভীরু এবং টাউট-বাটপারদের নিয়ে দেশীয় অস্ত্র রামদা, শাবল, লাঠি-সোঠা নিয়ে ঘরবাড়ী ভাংচুর করে জবরদস্তি করে রাধাগোবিন্দ মূর্তি স্থাপন করে। রবিন চন্দ্র এবং সাবিত্রী মূর্তি স্থাপনের বাঁধা দেওয়ায় তাদের মারপিট করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এমনকি এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকী দেয়। না গেলে তাদের প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলেও শাসায়।এ সময় সাবিত্রীর ঘরে রক্ষিত ছেলের শ্বশুর বাড়ী হতে পাওয়া ৪০ হাজার টাকা ও সমিতি থেকে উত্তোলন করা ৫০ হাজার টাকাসহ মোট ৯০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন ভূক্তভোগী সাবিত্রী।এ সময় সাবিত্রী অভিযোগ করে বলেন আজকে ১৫ দিন পার হয়ে গেলেও আমি কোন বিচার পাইনী।

এদিকে, ঘরবাড়ী ভাংচুর এবং টাকা লুট করে নিয়ে যাওয়ার কারণে রবিন চন্দ্রের পরিবার এবং সাবিত্রীর পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে বলে যানা গেছে।এসময় এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে,বিশ্বনাথ ওরফে বিশা শুধু এদের জমি নয় গ্রামের অনেকের জমি জোর করে দখল করে নিয়েছে। শুধু তাই নয়,অনেক চিটিং,বাটপারি করে লক্ষ লক্ষ টাকা অসহায় মানুষদের কাছ  থেকে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি দেখিয়ে হাতিয়ে নেয়ার ঘটনাও আছে।বিশ্বনাথ দাস ওরফে বিশার বক্তব্য জানতে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নী।

শেরপুর থানা পুলিশ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে  ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব হুমায়ূন কবির জানান আগামী দু-এক দিনের মধ্যো ঘটনার সমাধান করা হবে।তবে সাবিত্রীর চেয়ে মন্দির স্থাপনের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ন।

উপরে