প্রকাশিত : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৮:০২

সংযোগ সড়ক না থাকায় ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে,নির্মিত সেতু নিরব পড়ে আছে

নুর হোসেন রেইন,ভ্রামমান প্রতিনিধি:
সংযোগ সড়ক না থাকায় ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে,নির্মিত সেতু নিরব পড়ে আছে

সেতুর কাজ দুই বছর পূর্বে শেষ হয়েছে,উদ্বোধনও করা হয়েছে,কিন্তু যানবাহন চলেনা। আর চলবেই বা কিভাবে মাএ এক কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের জন্য, সাড়ে ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি নিরব পড়ে আছে। গাইবান্ধার বোনারপাড়া-গোবিন্দগঞ্জ সড়কের ত্রিমোহনী ব্রীজের পশ্চিম পার্শ্বে জেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় প্রায় এক কিলোমিটার সড়কে কাটাখালী নদীর ভাঙ্গন ও গত বন্যায় বিলিন হওয়ায় । ১০টি গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছেন। রিক্সা,ভ্যান তো চলেই না, পায়ে হেটে চলাচল করতেও সম্মস্যা হচ্ছে।

সরেজমিনে আজ মঙ্গলবার গিয়ে দেখা যায়, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা শহর থেকে বিশ পুকুর গ্রামের ব্যাবসায়ী ময়নুল ইসলাম সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় ভ্যান থেকে রাসায়নিক সার নামিয়ে বাইসাইকেল যোগে পরিবহন করছেন। ইতি পূর্বে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাজিরপাড়া,বিশপুকুরসহ কয়েকটি গ্রামে থাকা ক্লিনিক,মাদ্রাসা এবং বহু স্থাপনা কাটাখালি নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে আছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একটি বাজার ও বসতবাড়ি। শিক্ষক লিটন মিয়া জানান, সাঘাটা এলজিইডির ২৪ কোটি টাকার ব্রীজ করে কি হলো, এক কিলোমিটার রাস্তা ভাঙ্গাচুড়া। সেতু নির্মাণ বিষয়ে কথা হলে বোনারপাড়ার ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান বলেন, সেতুটির পশ্চিম পার্শ্বে সংযোগ সড়ক অতি জরুরি। গোবিন্দগঞ্জের মহাসড়কের সাথে সংযোগের ক্ষেত্রে প্রায় ৪৫ কি.মি রাস্তা কমে আসবে। 

মানুষ মাত্র ২৫ মিনিটে গোবিন্দগঞ্জে পৌঁছবে বলে জানালেন আরেক ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান। তাদের মতে ৪৫ কি.মি ঘুরে লোকজনের প্রায় অতিরিক্ত এক ঘন্টা ব্যয় হয় গোবিন্দগঞ্জে যেতে। শুধু গোবিন্দগঞ্জ নয় এ পথে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার লোকজনের যাতায়াতের পথ। সাঘাটা এলজিইডির ইঞ্জিনিয়ার ছাবিউল ইসলাম বলেন, রাস্তাটি এলজিইডির হলেও পশ্চিম পার্শ্বে গোবিন্দগঞ্জ এলাকায়,সেখানে সড়কের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবোনা।

 

উপরে