প্রকাশিত : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ২০:২৭

রংপুর-৩ সদর আসনের উপ-নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ প্রার্থীদের গণসংযোগ

রনজিৎদাস ॥
রংপুর-৩ সদর আসনের উপ-নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ প্রার্থীদের গণসংযোগ

রংপুর-৩ সদর আসনের উপ-নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করেছে রির্টানিং কর্মকর্তা। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রতীক বরাদ্দ শুরু হয়। দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রার্থীরা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভিড় জমায়। সকালেই আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন বিএনপি’র প্রার্থী রিটা রহমানকে ধানের শীষ, খেলাফতে মজলিসের তৌহিদুর রহমানকে দেয়ালঘড়ি, এনপিপি’র শফিউল আলমকে আম, গণফ্রন্টের কাজী মোঃ শহীদুল্লাহকে মাছ ও এরশাদেরভাতিজা হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফকে মোটরগাড়ি প্রতীক বরাদ্দ দেন।

এরপর বেলা আড়াই টায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী রাহগির আল মাহী সাদ এরশাদের পক্ষে প্রতীক নেন কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক। প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই গণসংযোগ শুরু করেন প্রার্থীরা। বিএনপি’র প্রার্থী রিটা রহমান বলেন, ভোট দিয়ে যথেষ্ট আশংঙ্কা রয়েছে। কারণ এবারও ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে। আমরা ইভিএমে আস্থা রাখতে পারছি না। গত নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়নি সেটা সবাই জানে। তবে এবারের নির্বাচনটি যেহেতু সরকার পরিবর্তনের নির্বাচন নয়, তাই আমরা আশাকরি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হুসেইন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ বলেন, রংপুরের মাটি ও মানুষের সাথে লাঙ্গল প্রতীকের একটি সম্পর্ক ছিলো। কিন্তু লাঙ্গল প্রতীক বরাদ্দ দিতে যেহেতু তারা বাহিরের মানুষকে নিয়ে এসেছে তাই রংপুরের মানুষ তাকে মেনে নিচ্ছে না।

সে সুযোগটা আমি নেয়ার চেষ্টা করবো। আমি এরশাদের পরিবারের সন্তান ও রংপুরে থাকি তাই ভোটাররা আমার পক্ষে থাকবে বলে আমি আশা করি। জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জোটগতভাবে আমরা এ আসনে লাঙ্গল প্রতীক পেয়েছি। তাই আওয়ামী লীগকে অভিনন্দন জানাই। জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের নেতাকর্মীদের মাঝে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। ৫ তারিখে এ আসনে লাঙ্গল মার্কায় বিজয় হবে এবং গোটা দেশবাসী জানবে রংপুরের মাটি এরশাদের ঘাঁটি। আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন বলেন, ৫ রাজনৈতিক দলের মনোনিত প্রার্থীদের মাঝে তাদের দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে বিধি ও তার পছন্দ অনুযায়ী মোটরগাড়ি প্রতীক দেয়া হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়ে গেছে। যদি কোন প্রার্থী, তার সমর্থক বা শুভাকাঙ্খি নির্বাচনী আচারণ বিধি ভঙ্গ করে তবে ৬ মাস করাদন্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। আগামী ৫ অক্টোবর একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন করার লক্ষ্যে আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। 

উপরে