প্রকাশিত : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ২২:১৩

চলছে দুর্গা পূজোর প্রস্তুতি, সাজ সজ্জায় ব্যাস্ত শেরপুরে কারু ও মৃৎশিল্পী

শুভ কুন্ডু, শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ
চলছে দুর্গা পূজোর প্রস্তুতি, সাজ সজ্জায় ব্যাস্ত শেরপুরে কারু ও মৃৎশিল্পী

আসছে ৪ঠা অক্টোবর মহাষষ্ঠী। আর মাত্র ১৭ দিন। শুরু হবে সনাতন ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা। আর এই দূর্গা পূজাকে ঘিরে প্রস্তুতি চলছে সকল জায়গায়। বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলা। প্রতিবারের ন্যায় এখানে বড় বড় অস্থায়ী পূজা মন্ডপগুলোতে প্রায় এক মাস আগে থেকেই শুরু হয়েছে দূর্গা পূজোর প্রস্তুতি। দূর্গোৎসবের প্রধান অনুষঙ্গ হচ্ছে দেবী দূর্গার প্রতিমা। আর তাই দূর্গা পূজাকে সামনে রেখে প্রতিমা তৈরীতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন মৃৎ শিল্পী ও কারু শিল্পীরা। এক দিকে প্রতিমা তৈরীতে ব্যাস্ত মৃৎশিল্পীরা অন্য দিকে মন্ডপে বিভিন্ন প্রসাধন বা বাহ্যিক সাজসজ্জার কাজে ব্যাস্ত কারু শিল্পীরা।

একদিকে যেমন পূজা শুরুর নির্দিষ্ট সময়ের আগেই মা দূর্গাকে মন্ডপে তুলতে হবে অন্যদিকে তেমন মন্ডপ প্রসাধনির কাজও শেষ করতে হবে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই। তাই রাত দিন একাকার করে মৃৎশিল্পীরা করছেন প্রতিমা তৈরীর কাজ আর রাত জেগে অস্থায়ী মন্ডপগুলোর বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনির কাজ করছেন কারু শিল্পীরা। পঞ্জিকা মতে এবার দেবী দূর্গার আগমন হবে ঘোড়ায় আর গমনও হবে ঘোড়ায়। এবার শেরপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ৫৩টি ও পৌর এলাকায় ৩৪টি মোট ৮৭ টি মন্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন শেরপুর উপজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সা: সম্পাদক সংগ্রাম কুন্ডু। সারেজমিনে বিভিন্ন মন্ডপ পরিদর্শন করে দেখা গেছে, উপজেলার ১০ টি ইউনিয়ন ও শেরপুর পৌরসভার সকল পূজা মন্ডপেই প্রতিমা ও প্যান্ডেল তৈরীর কাজ চলছে দিন-রাত। দেবী দূর্গার এই মূর্তি তৈরীর মাধ্যমে দেবী দূর্গা ও অসুরের রণ যুদ্ধের সেই ঘটনাগুলোর সংক্ষিপ্ত পৌরণিক কাহিনী মুর্তির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলছেন তারা।

শেরপুর জুনিয়র টাউন বারোয়ারীর পূজা উদ্যাপন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অমিত কুন্ডু জানান, এবার দেবী দূর্গার প্রতিমা তৈরীর পাশাপাশি পূজো মন্ডপের গেইট বা বহ্যিক সাজসজ্জা ও দৃষ্টি নন্দনের জন্য সোলা বা কর্কশিটের করুকাজের জন্য নাটরের কারু শিল্পী হরিদাস রায়কে আনা হয়েছে। তাকে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা কাজের কমবেশির উপর দিতে হবে বলে জানিয়েছেন এই পূজা কমিটির নেতা। শেরপুর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি নিমাই ঘোস বলেছেন, গতবারের তুলনায় এবার পূজা বেশ কয়েকটি বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই গতবারের তুলনায় এবছর আরও জাঁকজমকপূর্ন পূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন তিনি। তিনি বলেছেন উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপের শান্তি শৃঙ্খলা ও পরিবেশ রক্ষায় পূজা কমিটির সংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবকরা সহযোগিতা করবেন।

এদিকে পূজোকে ঘিরে চলছে উপজেলাবাসীর কেনাটার ব্যাপক প্রস্তুতি। যদিও সম্পুর্নরূপে কেনাকাটা শুরু হয়নি কিন্তু অনেককেই আগে থেকেই পূজোর জন্য কেনাকাটা করতে দেখা যাচ্ছে। পূজোর আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রনের বিষয়ে শেরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো: হুমাউন কবীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই আমরা পূজার জন্য প্রতিটি মন্ডপে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য ও আনসার নিয়োগ করবো এবং প্রতিটি মন্ডপে পোষ্টারিংয়ের মাধ্যমে সার্বক্ষনিক যোগাযোগের জন্য আমার মোবাইল নাম্বার দেওয়া থাকবে। পূজা সুষ্ঠ ও সুন্দর ভাবে অনুষ্ঠিত করার লক্ষে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা ও ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।

 

উপরে