প্রকাশিত : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৯:৩৪

শেরপুরে পল্লী বিদ্যুৎ লাইন সঞ্চালনের নামে কাঁটা হচ্ছে গাছ

শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ
শেরপুরে পল্লী বিদ্যুৎ লাইন সঞ্চালনের নামে কাঁটা হচ্ছে গাছ

বগুড়ার শেরপুরে পল্লী বিদ্যুৎ লাইন সঞ্চালনের নামে সব নিয়মনীতি উপেক্ষা করে উপজেলার বিভিন্ন সড়কের গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। একদিকে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচীতে গাছ লাগাতে বলা হচ্ছে অন্যদিকে বিদ্যুৎ লাইন সঞ্চলন নামে শত শত গাছের গোড়াঘেসে ও মাথা কাটে বনবিভাগকে ধ্বংস করার সড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণে এক মাসে প্রায় ২০-৩০টি মূল্যবান ইউক্যালিপটাস ও শিশু গাছ কেটে ফেলা হয়েছে এবং ৫০-৬০ গাছের মাথা কেটে দেওয়া হয়েছে। মির্জাপুর থেকে রানির হাট, ভবানীপুর থেকে চান্দাইকোনা, ভবানীপুর থেকে রানীরহাট, শেরুয়া থেকে ব্রাক বটতলা রোড, নাইশিমুল, চৌমুহনী এলাকার রাস্তার সরকারি গাছের গোড়া কেটে ও ব্র্রাক বটতলা থেকে জামাইল রোডে বিদ্যুৎ লাইনের তার থেকে অনেক দুরে রাস্তার গাছ তবুও গাছের মাথ কেটে নিধর করা হয়েছে। বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণের ক্ষেত্রে গাছের ডালপালা ছাঁটা ও প্রয়োজনে গাছের আগা কাটার নিয়ম থাকলেও সে নিয়ম না মেনে গাছের গোড়া থেকে কাটছে।

এলাকা ঘুরে আরোও দেখা গেছে, খোট্টাপাড়া সড়ক, সাবেক সাউদিয়া সড়ক, মির্জাপুর থেকে দড়িমুকন্দ সড়কসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন নামে গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এই গাছগুলো দিনের পর দিন রাস্তায় পড়ে থাকে নষ্ট হচ্ছে আবার অনেক কাছ উধাও হয়ে যাচ্ছে এর ফলে সরকার বড় রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অন্যদিকে বনবিভাগ ধ্বংস হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লাইনম্যান ও গ্রামবাসি অনেকে বলেন, একটু বিদ্যুৎ লাইনের সমস্যা দেখা দিলে গাছের গোড়া ঘেসে কেটে ফেলে হয়। বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি করে গাছ কাটলে কোন চাপ সৃষ্টি হয় না। একদিন এভাবেই সকল গাছ শেষ হয়ে যাবে। আর ব্রাক বটতলা ও জামাইল রোডের ছোট ছোট গাছগুলো এখন থেকেই টার্গেট করে রাখা হয়েছে। সেই টার্গেট পুরন করতেই গাছগুলো কাটা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বন বিভাগের কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, বিদ্যুতের লাইন সঞ্চালনের নামে গাছগুলো কেটে নিধর করেছে পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ। গাছের গোড়া কাটার নিয়ম নেই। তবে কর্তন করা গাছগুলো কিছু অফিসে নিয়ে আসা হয়েছে কিছু আছে সেগুলোও নিয়ে আসা হবে। আমরা বিদ্যুৎ বিভাগবে বারবার অবগত করার পরেও তারা গাছগুলো কাটছে কেন জানিনা। মনে হয় বনবিভাগ ধ্বংস করার পরিকল্পনা করছে।

পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক ফকরুল আলমকে মোবাইলে কল করলে তিনি রিসিভ করেন না।
উপজলো নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী সেখ বলেন, বিদ্যুতের লাইন সঞ্চালনের নামে গাছের ডালপালা ছাঁটা এবং বিপজ্জনক স্থান ছাড়া গাছের গোড়া কাটা যাবে না। বিপজ্জনক ছাড়া যদি কেউ গাছের গোড়া সহ কেটে থাকে তাহলে তারে বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আনইগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

উপরে