প্রকাশিত : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ২০:১৪

নন্দীগ্রামে ফুলকপি চাষে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন কৃষক জামাত আলীর

নন্দীগ্রাম ( বগুড়া) থেকে মো: ফজলুর রহমানঃ
নন্দীগ্রামে ফুলকপি চাষে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন কৃষক জামাত আলীর

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ঢাকুইর গ্রামের কৃষক জামাত আলী বাধা কপি চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। সরজমিনে গিয়ে জানাযায়, উপজেলার ঢাকুইর গ্রামের আকরাম হোসেনের ছেলে জামাত আলী ২বিঘা জমি ২৬ হাজার টাকা দিয়ে পত্তন নিয়ে মারবেল জাতের উচ্চ ফলনশীল বাধা কপি চাষ করেছে। সরজমিনে জামাত আলীর সাথে বিস্তারিত কথা বলার এক পর্যায়ে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, সে অনেক স্বপ্ন নিয়ে সংসারে স্বচ্ছলতা আনার জন্য ২বিঘা জমিতে মারবেল জাতের ৯ হাজার বাধা কপির প্রতিটি চারা ৯০ পয়সা দরে ক্রয় করে রোপন করেছে। বর্তমানে বাধা কপির বয়স ৩০ দিন । অল্প কিছু দিনের মধ্যে গাছে ফল ধরা শুরু হবে।

জামাত আলী আরো জানান, এপর্যন্ত চারা কেনা, জমি চাষ, সার, নিরানী ও বালাই নাশক ব্যবহার সব মিলিয়ে মোট ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। একমাস পর কপির বয়স পূর্ণ হবে তখন জমি থেকে কপি তোলা শুরু হবে। বর্তমানে বাজারে কপি না নামলেও এক মাসের মধ্যে তার কপি বাজারে আসতে পারে বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, যদি আবহাওয়া এরকম ভালো থাকে কোন রোগ বালাই না লাগে তবে তার জমি থেকে প্রায় ৬মেট্রিক টন কপি পাওয়া যাবে।

সে মোতাবেক তার উৎপাদিত কপির বাজার মূল্য হবে প্রায় ২ লাখ টাকা। নন্দীগ্রাম সদর ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহারুল হক কৃষক জামাত আলী কে নিয়মিত ভাবে সকল বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। এবিষয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহা. মশিদুল হক জানান, যে সকল কৃষক কপি, বেগুন ও মরিচ সহ অন্যান্য শাক সবজি ও বিভিন্ন ফসল চাষ করেছে সেসব কৃষকদের কে নিয়মিত ভাবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

 

উপরে