প্রকাশিত : ৯ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০৭

সিঁদুরে রাঙিয়ে নাচে গানে আর আনন্দে বগুড়ায় প্রতিমা বিসর্জন

ষ্টাফ রিপোর্টার
সিঁদুরে রাঙিয়ে নাচে গানে আর আনন্দে বগুড়ায় প্রতিমা বিসর্জন

মহানন্দে বগুড়ায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বিদের প্রধান উৎসব দুর্গাপূজা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা সদরের করতোয়া নদীতে প্রতিমাগুলো বিসর্জন দেয়া হয়। এছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাঙ্গালী, ইছামতি, করতোয়া শাখা নদী, নাগর নদে, নদীর পানিতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। প্রতিমা বিসর্জন দিয়ে অনেক ভক্তই চোখের জল নিয়ে ঘরে ফিরেছেন। 

বগুড়া শহরে বিসর্জনের আগে সনাতন ধর্মাবলম্বিরা নেচে গেয়ে তাদের ধর্মকার্য সম্পন্ন করে করতে দেখা যায়। সনাতন ধর্মালম্বীরা দুপুরে নাচ, গান, সিঁদুর খেলা, বিজয়ার শোভাযাত্রা ও সন্ধ্যায় বিসর্জন। এসময় তাদের মধ্যে ব্যাপক আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা যায়। মন্দিরে মন্ডপে ছিল ভক্তদের প্রচুর ভিড় এই ভিড়ের মধ্যেই একে অপরের সাথে তারা সিঁদুরে রাঙিয়ে যায়। জেলা শহরের মালতীনগর, জলেশ^রীতলা, চেলোপাড়া, বেলতলা, উত্তরচেলোপাড়া, ঠনঠনয়িা, সেউজগাড়ী, দত্তবাড়ি, ফুলবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকার মন্দির ও মন্ডপের প্রতিমাগুলো করতোয়া নদীর বিভিন্ন ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন দেয়।

বিসর্জন দেয়ার সময় ট্রাকে করে মাইকে উচ্চস্বরে গান বাজিয়ে নাচতে নাচতে ভক্তরা প্রতিমাগুলো বিসর্জন দিতে যায়। বগুড়া শহরের এসপি ঘাটে বিকাল থেকে প্রতিমাগুলো একের পর এক আসতে থাকে। সেখানে প্রায় অর্ধশতাধিক প্রতিমা বিসর্জন দিতে দেখা যায়। এছাড়া করতোয়া নদীর চেলোপাড়া, বেজোড়া এলাকায় প্রতিমা বিসর্জন দেয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বজায় রেখে এই উৎসব আনন্দে শামিল হয়েছিলেন সব ভিন্ন ধর্মের মানুষ। সবার অংশগ্রহণে উৎসবের আনন্দ আরও বেড়ে যায়। 

এদিকে বগুড়ার শেরপুর, শাজাহানপুর, গাবতলী, ধুনট, শিবগঞ্জ, নন্দীগ্রাম, কাহালু ও সারিয়াকান্দী উপজেলাতেও একই নিয়মে প্রতিমাগুলো বিসর্জন দেয়া হয়েছে। জেলা ও পুলিশ প্রশাসন থেকে নেওয়া হয়েছিল কঠোর নিরাপত্তা ব্যাবস্থা। আইন শৃংখলা বাহীনির পাশাপাশি কর্তব্যরত ছিল বিপুল পরিমান স্বেচ্ছাসেবী থাকায় কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি।

উপরে