প্রকাশিত : ১৬ অক্টোবর, ২০১৯ ১৯:১৪
অবৈধ শিক্ষক নিয়োগ মোটা অঙ্কের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে

গোবিন্দগঞ্জে এক ভুক্তভোগী শিক্ষক্ষের সংবাদ সম্মেলন

ষ্টাফ রিপোর্টার
গোবিন্দগঞ্জে এক ভুক্তভোগী শিক্ষক্ষের সংবাদ সম্মেলন

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে খলসি দাখিল মাদ্রাসার  কমিটি ও সুপার সাহেব নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মোটা অংকের ডোনেশন নিয়ে শিক্ষক নিয়োগ দিলেও দীর্ঘ দিন যাবৎ বেতন ভাতার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করলে দেখা যায় নিয়োগটি ক্রুটিপুর্ণ দেখিয়ে বার বার আবেদনটি বাতিল করা হলে ভুক্তভুগি শিক্ষক র্নিরুপায় হয়ে প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। গত বুধবার দুপুরে রিপোর্টার্স ফোরাম কার্যালয়ে ভুক্তভুগী উপজেলার রাখালবুরুজ ইউপি’র চকমাকড়া গ্রামের মোজাম্মেল হকের পুত্র আমিরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

তিনি বলেন, উপজেলার খলসী দাখিল মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ গত ১২/১১/২০১৪ইং তারিখে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হয়। উক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন না করিয়া অথাৎ লিখিত শেষ করিয়া ভাইভা না নিয়েই আমাকে নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাহিলে কমিটির সভাপতি, সুপার ও সহ-সুপার সাহেব বলেন তোমার বিল-বেতন হইলে তো আর কোন সমস্যা নেই। আমি এই কথাটিও বিশ্বাস করিয়া নিয়োগ পত্র গ্রহন ও যোগদান করিয়া বেতনের জন্য অনলাইনে উপ-পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রংপুর অঞ্চল, রংপুর বরাবওে আবেদন করলে আবেদনগুলি বাতিল করা হয়।

আমি ইহতে হতাশ হইয়া পরি এবং আর্থিকভাবে একেবারে নিঃস্ব হইয়া পরি। এ ব্যাপারে কমিটি ও সুপার সাহেবের নিকট তুলে ধরলে তারা আমাকে সহকারী শিক্ষক(বাংলা) হিসেবে কাগজ পত্র বানিয়ে দিয়ে আবেদন করতে বলে, আমি সুপার সাহেবকে বলি  আমার বেতন যেন হয় সেই ব্যবস্থা করুন। সুপার ও সহ-সুপার সাহেব ভূয়া কাগজ পত্র অর্থ্যাৎ পত্রিকা, রেজুলেশন, নিয়োগ ও যোগদান নাকি কম্পউটারেই তৈরী করা যায় সেজন্য গোবিন্দগঞ্জ এস,এস, কম্পিউটারের মালিকের কাছে নিয়ে গেলে তিনি ১০,০০০/- টাকার বিনিময়ে তিনি কাগজ পত্র তৈরী করে দিবেন বলে আমাকে জানান । আমি বেতনের স্বার্থে এই প্রস্তবেও রাজি হই। আমি বলিলাম (সমাজ বিজ্ঞান) পদে নিবন্ধন পাইয়াছি, বাংলা বিষয়ে তো নিবন্ধন নেই তখন সভাপতি সাহেব আমাকে বলে তুমি ১০,০০০,০০০/-(দশ লক্ষ)টাকা দিয়েছ আরও ৫,০০,০০০/-(পাঁচ লক্ষ)টাকা বাকী আছে, বাকী টাকা দিতে হবে। তিনি সুপার সাহেবকে বলেন টাকা নিয়ে যে ভাবেই হোক আমিরুলের বেতনের ব্যবস্থা করুন। আমি বেতন পাবার আশায় জমি বিক্রি ও বন্ধক রেখে ৫,০০,০০০/-(পাঁচ লক্ষ)টাকা সভাপতি সাহেবকে দেই।

সুপার সাহেব কাগজপত্র তৈয়রীর জন্য এস,এস কম্পিউটারের মালিক মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিকের নিকট নিয়ে গেলে আরও ২,০০,০০০/-(দুই লক্ষ) টাকার বিনিময়ে বেতন করে দিবে বলে চুক্তি করিতে বলিলে আমি  রাজি হইয়া ৭০,০০০/-(সত্তর হাজার) অগ্রীম দিয়ে ফাইলে কাজ করিতে বলি । তারপর সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করে অনলাইনে আবেদন করা হলে আবেদনটি ত্রুটিপূর্ণ নিয়োগ দেখিয়ে আবেদনটি বাতিল করে এবং  ইহাতে আমি আরো বেশি হতাশ হইয়া পরি এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোজ খবর নিয়ে আমি জানিতে পারি শরীর চর্চা পদে (সহকারী মৌলভী) নিয়োগ দিয়েছে, সমাজ বিজ্ঞান পদটি পরিবর্তন করে বাংলা দেখানো হয়েছে।

এই কথা সভাপতি, সুপার সহ- সুপার সাহেবকে বলিলে তোমার বেতন হলে তো আর সমস্যা নেই, তোমার বিল হবে,  সুপার ও সহ-সুপার একটা ভাল কাজ করেছেন বোরহান নামে সহকারী মৌলভী তৈরীকৃত কাজপত্র দিয়ে এমপিও ভুক্ত হয়েছে,। তোমারও হবে ধর্য্য ধরিতে হইবে।  তারপর আমি বুঝিতে পরিলাম আমার সঙ্গে চাকুরীর নামে মোটা অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারণা করা হয়েছে। আমি সভাপতি, সুপার ও সহ-সুপারের নিকট টাকা ফেরত চাহিয়া না পাইয়া অসহায় হয়ে সংবাদ সম্মেলন করিতে বাধ্য হই। আমার সহিত চাকুরীর নামে টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারণা করেছে আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

 

উপরে