প্রকাশিত : ১৬ অক্টোবর, ২০১৯ ১৯:৪৯

ট্রেনে অজ্ঞান পার্টির তদপরাতা বৃদ্ধি

মোঃ আফজাল হোসেন দিনাজপুর প্রতিনিধি
ট্রেনে অজ্ঞান পার্টির তদপরাতা বৃদ্ধি

পঞ্চগড় থেকে ঢাকা গামী আন্তঃনগর ট্রেন রয়েছে ৩টি। ১টি দ্রুতযান এক্সপ্রেস, ২য়টি পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, ৩য়টি একতা এক্সপ্রেস। ট্রেনের ভিতর নিরাপত্তার স্বার্থে সকল যাত্রীর নিরাপত্তা থাকার কথা। কিন্তু আইন শৃঙ্খলা দায়িত্ব নিয়োজিতরা কর্তব্য অবহেলা করায় একের পর এক ট্রেন যাত্রীরা অজ্ঞান পার্টির ক্ষোভরে পরে সর্বস্ব শান্ত হচ্ছেন। এমটাই দাবী করছেন যাত্রী সাধারণ।

আজ বুধবার সকাল আনুমানিক ৬:০৫ মিনিট সময় দ্রুতযান ট্রেনের যাত্রী মোঃ মইনুল অচেতন অবস্থায় কখন যে তার সব কিছুই অজ্ঞান পার্টি নিয়ে চলে গেছে, সে নিজেই জানে না। ট্রেনের ভিতর অচেতন অবস্থায় থাকতে দেখে কর্তব্যরত দিনাজপুর নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) হাবিলদার মেহেদী হাসান ও টিসি শাহিন আলম ট্রেনের ভিতর গিয়ে দেখেন অজ্ঞান অবস্থায় একজন চেয়ারে পড়ে রয়েছে। পাশের যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে কখন যে কি হয়েছে তাহাও বলতে পাড়ছে না। যাত্রী মোঃ মইনুল কিছুটা চেতন হলে তাকে জিজ্ঞাসা বাদে জানায় রাজশাহী তানোর থেকে শান্তাহারে এসে দ্রুতযানের টিকেট করতে গেলে টিকেট না পেয়ে পাশে দাড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি বলেন আমার নিকট একটি টিকেট আছে।

আমি দিনাজপুর যাচ্ছি আপনি আমার সঙ্গে যেতে পারেন। অজ্ঞান পার্টির সদস্যটি তার পাশের সীটে বসিয়ে কখন যে অজ্ঞান করে তার সঙ্গে লাগেজ নগদ ৩৫ হাজার টাকা, মানিব্যাগ নিয়ে সটকে পড়ে। মইনুল তার ছেলের আখিকা করার জন্য দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। অজ্ঞান পার্টির প্রধান টার্গেট সাধারণ যাত্রীরা। এ পার্টির সদস্যরা এতটাই ধূরত যে তাদের দেখে চেনার উপায় নেই।

বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ বিভিন্ন যানবাহনে এ চক্রের সদস্যরা ছদ্মবেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। টার্গেটকৃত ব্যক্তির সঙ্গে ভাব জমিয়ে যে কোনো খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে দেন নেশা জাতীয় ট্যাবলেট। যাত্রী অজ্ঞান হয়ে গেলে সর্বস্ব লুটে নিয়ে সুবিধামত স্থানে সটকে পড়ে। অনেক সময় অজ্ঞানকৃত ব্যক্তির ব্যবহৃত মোবাইল দিয়ে তার নিকট আত্মীয়ের কাছে ফোন করে তাকে আটক রাখার কথা বলে বিকাশ বা অন্য কোন মাধ্যমে আরো নগদ টাকা হাতিয়ে য়ে। এ চক্রের সঙ্গে মহিলা সদস্যও রয়েছে। অনেক সময় তারা স্বামী-স্ত্রী সেজে যানবাহনে ওঠে। এরপর টার্গেটকৃত এক বা একাধিক ব্যক্তিকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে ফেলে।

উপরে