প্রকাশিত : ২০ অক্টোবর, ২০১৯ ২২:০৬

ধুনটে বাঙ্গালী নদীতে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন: ভাঙ্গন ঝুঁকিতে গুচ্ছগ্রাম

ইমরান হোসেন ইমন, ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি:
ধুনটে বাঙ্গালী নদীতে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন: ভাঙ্গন ঝুঁকিতে গুচ্ছগ্রাম

বগুড়ার ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের রাঙ্গামাটি পশ্চিমপাড়া এলাকার আদর্শ গুচ্ছগ্রামের পাশেই বাঙ্গালী নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে নদীর তীরবর্তী শতাধিক বিঘা ফসলি জমি ও নবনির্মিত সরকারি গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প ভাঙ্গন ঝুঁকিতে পড়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী বালু উত্তোলন বন্ধ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

জানাগেছে, উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের রাঙ্গামাটি গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে বাঙ্গালী নদী। নদীর তীরে ত্রান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে ওই ইউনিয়নের ১০১টি ভূমিহীন পরিবারের জন্য টিনের তৈরী ঘর নির্মান করে দেওয়া হয়েছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে আদর্শ গুচ্ছগ্রাম। এদিকে নবনির্মিত ওই গুচ্ছগ্রামটির উদ্বোধন না হলেও তার পাশেই বাঙ্গালী নদীতে একই ইউনিয়নের খোকশাহাটা গ্রামের গোলাম রব্বানীর ছেলে আব্দুর রশিদ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। নদীর গভীর তলদেশ থেকে বোরিং করে বালু উত্তোলনের কারনে নদীর পাড় ও ফসলী জমিতে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এছাড়া অব্যাহত বালু উত্তোলনে সরকারি গুচ্ছগ্রামটিও ভাঙ্গন ঝুঁকিতে পড়েছে। 

এবিষয়ে রাঙ্গামাটি গ্রামের কৃষক আবু সাইদ, আফসার আলী ও মন্টু মিয়া জানান, বাঙ্গালী নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় নদীর তীরবর্তী ফসলি জমিতে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে শতাধিক বিঘা ফসলি জমি ও সরকারি গুচ্ছগ্রামটিও নদীতে বিলীন হয়ে যাবে বলে আশংকা করছেন স্থানীয়রা। তাই তারা বালু উত্তোলন বন্ধ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। 

বালু ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ বলেন, নদী থেকে বালু উত্তোলন করতে চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়েছি। তবে গুচ্ছগ্রামের পাশে থেকে বালু তোলা হচ্ছে না বলে তিনি দাবি করেন।ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা বলেন, নদী থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হলে ফসলি জমি ও সরকারি গুচ্ছগ্রাম ভাঙ্গনের কবলে পড়বে। তাই দ্রুত অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

উপরে