প্রকাশিত : ৩ নভেম্বর, ২০১৯ ২০:১৯

শেরপুরে মহাসড়ক পারাপারে দুর্ভোগ! ওভারব্রীজ নির্মাণের দাবি জনগনের

শুভ কুন্ডু, প্রতিনিধি শেরপুর-বগুড়াঃ
শেরপুরে মহাসড়ক পারাপারে দুর্ভোগ! ওভারব্রীজ নির্মাণের দাবি জনগনের

বগুড়ার শেরপুরের বুকচিরে বয়ে চলেছে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক। যার মধ্যে উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নের বগুড়া বাজার থেকে গাড়ীদহ ইউনিয়নের দশমাইল (আরডিএ) পর্যন্ত প্রায় ২২ কিলোমিটার মহাসড়ক পারাপারের কোন ব্যবস্থা নেই। ফলে যত্রতত্র রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে  ছোট বড় অনেক দুর্ঘটনা। বাড়ছে নিহত এবং আহতের সংখ্যা। তাই মহাসড়ক পারাপারে স্থান নির্দিষ্টকরণসহ ফুটওভার ব্রীজ নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী ।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের শেরপুর উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নের বগুড়া বাজার থেকে গাড়ীদহ ইউনিয়নের দশমাইল (আরডিএ) পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার মহাসড়কের দুই পাশে গড়ে উঠেছে হাট-বাজার, মিল কারখানসহ অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যারফলে প্রতিনিয়ত রাস্তার এপাশ থেকে ওপাশে পারাপার হতে হয় ছাত্র/ছাত্রী সহ হাজার হাজার জনসাধারণের। বিশেষ করে বাণিজ্যিক শহর শেরপুরে মহাসড়কের দুধারে রয়েছে ছোট বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বেশ কয়েকটি মার্কেট। কিন্তু কোথাও পথচারী তথা স্কুল কলেজগামী ছাত্র/ছাত্রীদের পারাপারের সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেই। নেই কোন ফুটওভারব্রীজ, জেব্রা ক্রসিং কিংবা স্পীডবেকার(গতিরোধক)। যার ফলে এসব এলাকায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যত্রতত্র রাস্তা পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। ঘটছে প্রাণহানি অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করছে।

পথচারীদের পারাপারের স্থান ও সংকেত সুমহ নির্দিষ্ট হলে সাধারণ মানুষের মহাসড়ক পারাপার যেমন সহজতর হতো তেমনি কমতো সড়ক দুর্ঘটনা। সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ অনুযায়ী যত্রতত্র রাস্তা পারাপারের জন্য সর্বোচ্চ দশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে। অথচ এই আইন সর্ম্পকেও অনেকেই অজ্ঞ। ফলে একদিকে রাস্তা পারাপারের নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় যেমন রয়েছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি তেমনি আইন অমান্য করায় শাস্তিরও বিধান রয়েছে।এলাকাবাসী জানান, শহরের ধুনট মোড়, বাসষ্ট্যান্ড ও উপজেলা পরিষদের সামনে যদি ফুটওভারব্রীজ নির্মাণ করা হতো তাহলে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও কমতো, যত্রতত্র রাস্তা পারাপারও বন্ধ হতো। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে স্পীডবেকার(গতিরোধক) অথবা  জেব্রা ক্রসিংয়ের ব্যবস্থা করা হলে দ্রুতগামী পরিবহনগুলো গতি হ্রাস করতে বাধ্য হতো।

এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের কুন্দারহাট ফাঁড়ির ইনচার্জ মো: জাহেদুল ইসলাম জানান, মহাসড়কের পথচারীদের নির্বিঘ্নে চলাচল ও নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার বিষয়ে রোডস এন্ড হাইওয়ে ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা বলেছি এবং আগামী ডিসেম্বর মাসে জেব্রা ক্রসিংয়ের ব্যবস্থা করার বিষয়ে পরিকল্পনা আছে বলে জানতে পেরেছি।

উপরে