প্রকাশিত : ৭ নভেম্বর, ২০১৯ ২৩:৩৬

পরিত্যাক্ত পলিথিন ও প্লাস্টিক থেকে জ্বালানী উৎপাদন করছেন জয়পুরহাটের আসলাম

সুমন কুমার সাহা ব্যুরো প্রধান জয়পুরহাট:
পরিত্যাক্ত পলিথিন ও প্লাস্টিক থেকে জ্বালানী উৎপাদন করছেন জয়পুরহাটের আসলাম

পরিত্যাক্ত পলিথিন ও প্লাস্টিক থেকে জ্বালানী উৎপাদন করছেন জয়পুরহাটের আসলাম। আসলাম হোসেন জয়পুরহাট সদর উপজেলার জয় পার্বতীপুর গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, জয়পুরহাটের পার্বতীপুর গ্রামে পলিথিন ও প্লাস্টিক পুড়িয়ে ডিজেল ও পেট্রোল উৎপাদন করা হচ্ছে। ৬ কেজি পলিথিন ও প্লাস্টিক পুড়িয়ে ১ লিটার পেট্রোল ২ লিটার ডিজেল পাওয়া যাচ্ছে, আর সেখান থেকে প্রাপ্ত কালি ছাপা খানার কালি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। শুধুমাত্র নতুন অথবা পুরাতন পলিথিন ও প্লাস্টিক বোতল ড্রামের ভিতরে ঢুকিয়ে মুখটা বন্ধ করে চুলার উপর রাখা হয়। তারপর চুলাতে নির্দিষ্ট পরিমাণ কয়লা বা যে কোন প্রকার জ্বালানি দিয়ে পরিমাণ মত তাপ দিলে ড্রামের ভিতরে থাকা পলিথিন গলে ডিজেল পেট্রোল ও ছাপাখানার কালি উৎপন্ন হচ্ছে।

জ্বালানী উৎপাদনকারী আসলাম হোসেন বলেন, আমার একটা ভ্রাম্যমান দোকান ছিল সে কারনে বিভিন্ন হাট বাজারে যাওয়া হতো, হঠাৎ করেই একদিন একটা ভিডিও দেখি যেটাতে ওরা পলিথিন পুড়িয়ে পেট্রোল, ডিজেল, অকটেন, প্রিন্টারের কালি এবং গ্যাস উৎপাদন করছে। তারপর আমিও সেই ভিডিও কে অনুসরন করে এ উৎপাদন করতে সক্ষম হই। কিন্তু অর্থের অভাবে বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদন করতে পারছি না। সরকারি তহবিল থেকে আমাকে আর্থিকভাবে সহযোগীতা করা হলে আমি এ প্রক্রিয়াকে বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন ও সরবরাহ করতে সক্ষম হবো।

স্থানীয় সুশিল সমাজ এর ব্যক্তিরা বলছেন, বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত ব্যবহৃত জ্বালানী তেল বিদেশ থেকে আমদানী করে যেখানে দেশের চাহিদা পুরন করছে সরকার,  সেখানে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে এমন এক বিষ্ময়কর উদ্ভাবনী প্রশংসার দাবিদার। একই সাথে তারা বলছেন সরকারি তহবিল থেকে আসলামকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করা হলে এ জ্বালানী উৎপাদন বাণিজ্যিকভাবে করা সম্ভব হবে পাশাপাশি এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা যাবে বলে মনে করছেন স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।

উপরে