প্রকাশিত : ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ১৭:০৭

তালোড়ায় সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে মাঠ

মুনজুর কাজী তালোড়া (বগুড়া) প্রতিনিধি:
তালোড়ায় সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে মাঠ

দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়ায় সরিষার হলুদ ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে মাঠ। ক্ষেতের দিকে চোখ মেলালেই হলুদ ফুলের সমারোহে মন জুড়িয়ে যায়। মন কাড়ানো সরিষার হলুদ ফুলে কৃষকের হাসি যেন একাকার হয়ে গেছে। উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, এবার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় ২হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ করেছে চাষীরা। উফসি জাতের এসব সরিষার মধ্যে রয়েছে বারী-১৪, বারী-১৫, বারী-১৭ ও বিনা-৯। 

তালোড়া পৌরসভার মুক্তাগাছা মহল্লার কৃষক ফেরদৌস রহমান জানান, প্রতি বছরই তিনি সরিষার আবাদ করেন। তিনি ৪ বিঘা জমিতে এবার সরিষার আবাদ করেছেন, বিঘা প্রতি সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তার। তালোড়া বাজারের কৃষক আশরাফুল ইসলাম জানান, সরিষা একটি লাভজনক ফসল। এতে পরিচর্যা করতে খুব বেশি পরিশ্রম করতে হয় না। বিঘা প্রতি ৫-৬ মণ সরিষা উৎপাদন হয়। এবার তিনি ৩০ শতাংশ জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। বর্তমানে ক্ষেতের অবস্থা ভালো। ভালোভাবে পরিচর্যা করলে ও আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা। পলিপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন দুপচাঁচিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন প্রদর্শনী সরিষা ক্ষেত চোখে পড়ার মতো।

ভেলুরচক গ্রামের প্রদশর্নী কৃষক মোঃ সালাম জানান, ৪০ শতাংশ জমিতে এবার তিনি বিনা-৯ জাতের সরিষার আবাদ করছেন। ভালো ফলনের ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতা পেয়ে তিনি অনেক খুশি। তবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার জমিতে আদ্রতা বেশি থাকায় সরিষার আবাদ অন্যান্য বারের চেয়ে কম হয়েছে। প্রান্তিক চাষীরা সরিষার আবাদ করে প্রাথমিক অবস্থায় সরিষার ন্যায্যমূল্য পান না। পরবর্তী সময় সরিষার দাম বৃদ্ধি পেলেও ওই সময় তাদের ঘরে বিক্রির জন্য সরিষা আর থাকে না। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাজেদুল আলম বলেন, যে কোনো ফসল বা শস্য সময়মতো চাষাবাদ, পরিচর্যা এবং সেই সঙ্গে আবহাওয়া ক্ষেতের অনুকূলে থাকলে তার উৎপাদন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এবার এ উপজেলায় সরিষার ক্ষেতের যে অবস্থা তাতে ভালো ফলনের আশা করছেন তিনি।  

উপরে