প্রকাশিত : ২৩ মার্চ, ২০২০ ২৩:০৯

এখনও অনিশ্চিত কোয়ারেন্টাইন শেরপুরে নব্য বিদেশ ফেরত ১৭০ জন

শুভ কুন্ডু, শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ
এখনও অনিশ্চিত কোয়ারেন্টাইন
শেরপুরে নব্য বিদেশ ফেরত ১৭০ জন

আজ সোমবার (২৩মার্চ) পর্যন্ত বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ১লা মার্চ থেকে ১৭০ জন বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের নামের তালিকা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দেশে ফেরার পর ৯২ জনের হদিশ মিলেছে। তবে এই ৯২ জনের কোয়ারেন্টাইন কতটুকু নিশ্চিত করা হয়েছে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ওদিকে পাওয়া যাচ্ছে না বাকি ৭৮ জনের হদিশ। তারা বেশির ভাগই কোয়ারেন্টাইনের বাহিরে বিচ্ছিন্ন ভাবে চলাফেরা করে আসছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ১৭০ টি প্রদেশের বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ায় নতুন করে বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের কোনো সুযোগ নেই। শেরপুরে প্রবাসী বা বিদেশ ফেরত ব্যক্তিরা বেশিরভাগ ভারত, চীন, মালোয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব, দক্ষিণ কোরিয়া সহ বিভিন্ন রাষ্ট্র থেকে ফিরেছেন বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র থেকে জানা গেছে। উপজেলার প্রায় সকল ইউনিয়ন ও পৌরসভাতেই বিদেশ ফেরত ব্যক্তিরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবাধে চলাফেরা করছেন এখনও।

অন্যদিকে গত বুধবার (১৮মার্চ) থেকে একাধিক মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করণ অভিযান অব্যাহত রেখেছেন স্থানীয় উপজেলা প্রসাশন ও থানা-পুলিশ। একদিকে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: লিয়াকত আলী সেখ ও সহকারী কমিশনার ভূমি জামসেদ আলাম রানা কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে গত বুধবার থেকে বিভিন্ন এলাকায় আলাদা মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে জরিমানা সহ কোয়ারেন্টাইনের বিধি নিষেধ সম্পর্কে অবগত করছেন। অন্যদিকে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: হুমায়ুন কবীর ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: আবুল কালাম আজাদ এর সার্বিক তত্তাবধায়নে পুলিশ কর্মকর্তারাও সকল বিদেশ ফেরতদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার চেষ্টায় দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন।

জানা গেছে, সরকারী ভাবে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য একটি জাতীয় নীতিমালা করা হয়েছে। নীতিমালার অংশ হিসেবে বিভাগীয়, জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের সমন্নয়ে কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। কর্মপরিধি অনুযায়ী এই কমিটির কাজ হচ্ছে উপজেলা প্রসাশনের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী বিদেশ থেকে কারা এসেছে, কোয়ারেন্টাইন মানছে কিনা খতিয়ে দেখা, যদি না মানে প্রসাশনকে অবহিত করা। তবে নজরদারি কম থাকায় বিদেশ ফেরতরা কোয়ারেন্টাইন এড়িয়ে অবাধে চলাফেরা করতে পারছেন বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর  সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সবাইকে নজরদারির মধ্যে রাখা সম্ভব হচ্ছে না আমাদের। তবে আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে ব্যক্তি সচেতনতার উপর কিছু নেই বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট প্রসাশন।

তবে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও হোম কোয়ন্টোইন নিশ্চিত করণ প্রসঙ্গে শেরপুর উপজেলা প্রসাশন ও থানা পুলিশের কর্মকর্তারা বর্তমান পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রনে আছে বলে দাবি করেছেন।
তবে উপজেলা প্রসাশন, থানা-পুলিশ ও স্বাস্থ বিভাগ যথাক্রমে - উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: লিয়াকত আলী সেখ, সহকারী কমিশনার ভূমি জামসেদ আলাম রানা, শেরপুর থানার ওসি মো: হুমায়ুন কবীর, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: আবুল কালাম আজাদ ও উপজেলা স্বাস্থ ও প: প: কর্মকর্তা মো: আব্দুল কাদের Ñ এই সকল কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে তাদের কাছ থেকে আলাদা আলাদা তথ্য পাওয়া গেলেও একটি কথায় মিল পাওয়া গেছে, পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রনে আছে। তবে ব্যক্তি সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।

উপরে