প্রকাশিত : ২৫ মার্চ, ২০২০ ০২:২৮

আইসোলেটেড হলো বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল

কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৫৫৪ জন
ষ্টাফ রিপোর্টার
আইসোলেটেড হলো বগুড়া মোহাম্মদ আলী 
হাসপাতাল

বগুড়ায় বিদেশ ফেরত স্বজনরায় দেশীয় স্বজনদের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে। দিন যাচ্ছে আর খোঁজ করে বের করে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। জেলা বিভিন্ন পৌর এলাকা, ইউনিয়ন ও প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলেও বিদেশ ফেরতদের খোঁজ করছে পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্বাস্থ্য কর্র্মীরা। মঙ্গলবার বগুড়ায় ৫৪ জনের হোম কোয়ারেন্টাইন শেষে সনদ দেয়া হয়েছে এবং আরো এখন পর্যন্ত ৫৫৪ জন। নতুন করে যোগ হয়েছে ৮২ জন। এদিকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতলের ভর্তি রুগিদের অন্যাত্র রেফার্ড করে এই হাসপাতালকে আইসোলেটেড ইউনিট হিসেবে প্রস্তুত করা হচ্ছে।

বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম বদিউজ্জামান জানান, বিদেশ ফেরতদের তালিকা নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে কিনা তা যাচায় করা হচ্ছে। বিদেশ ফেরতদের বিষয়ে তথ্য দ্রুত নিকটস্থ পুলিশ সদস্য বা থানায় দিতে বলা হয়েছে। প্রচার প্রচারণা চলছে নিজ বাড়িতে অবস্থান করার জন্য। কোন গুজবে কান না দিতেও বলা হয়েছে। 
বগুড়া জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন মোস্তাফিজার রহমান জানান, মঙ্গলবার নতুন করে ৮২ জনের বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের খোঁজ পাওয়া গেছে। এনিয়ে এখন জেলায় হোম কোয়ারেন্টিইনে আছে ৫৫৪ জন। তারা ইতালি, চীন, ভারত, সৌদি, মালয়েশিয়া, কাতার, ইন্দোনেশিয়া থেকে এসেছে চলতি মার্চ মাসে। তিনি আরো জানান, বগুড়ায় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতালকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য আইসোলেটেড ইউনিট হিসেবে প্রস্তুত করা হচ্ছে এবং যে সব রোগীদের চিকিৎসা প্রয়োজন তাদের শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। 

বগুড়া সিভিল সার্জন ডা: গওসুল আজিম চৌধুরী জানান, জেলা প্রশাসনের আয়োজনে করোনা ভাইরাস মোকাবিলা নিয়ে প্রস্তুতিমূলক মতবিনিময় সভায় প্রাথমিকভাবে মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল ও ডায়াবেটিক হাসপাতালকে আইসোলেটেড করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে গত সোমবার রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালকে পুরো আইসোলেশন ইউনিট করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই নিয়ে পুরোদমে কাজ শুরু হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা ডা. শফিকুল আমিন কাজল জানান, সকাল থেকে ১১১ জন রোগীকে ছুটি দেয়া হয়েছে। যাদের আরও চিকিৎসার প্রয়োজন তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতাল সহ বিভিন্ন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছে। এই হাসপাতালের সব রুগিকে ছুটি দেয়ার মত এখন অবস্থানে আছে। সব রুগিকে পাঠানোর পর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। আরো কিছু কাজ চলছে। 

তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকেই পুরো হাসপাতাল পরিস্কার করার কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ২৬ মার্চ থেকে চিকিৎসা সেবা দেয়া যাবে। বগুড়ায় এখনো করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত রোগীর কোন তথ্য নেই। এখন পর্যন্ত জেলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। মানুষের মধ্যে যত সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে এই করোনা থেকে মানুষ ততই সুরক্ষা পাবে। 

উপরে