প্রকাশিত : ২৯ মার্চ, ২০২০ ২২:১৫

বগুড়ায় করোনা সন্দেহে হাসপাতালে দুই রোগী ভর্তি

জেলায় ৭৪৩ জন এখনো হোম কোয়ারেন্টাইনে
ষ্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ায় করোনা সন্দেহে
হাসপাতালে দুই রোগী ভর্তি

পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা সরঞ্জাম ছাড়ায় করোনা ভাইরাসের জন্য বিশেষায়িত মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে দুই রোগী ভর্তি হলেন। হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাদের করোনা ভাইরাসের সন্দেহ করছেন। রোববার দুপুরেই প্রথমবারের মত করোনা ভাইরাস সন্দেহে দুই রোগী ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা না করে এখনি কিছু বলতে চাইছেন না ডাক্তাররা। বগুড়া সিভিল সার্জন অফিস থেকে বলা হচ্ছে জেলায় ৭৪৩ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। 

বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, দুই রোগীর মধ্যে ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির বাড়ি বগুড়ার ধুনট উপজেলায়। অপরজন ২৬ বছরের এক যুবক কুমিল্লা থেকে তার বাবার কর্মস্থল বগুড়ার কাহালুতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার শ^াসকষ্ট রয়েছে। কমবয়সি যুবকটি বেশি অসুস্থ্য। তাদের সাধ্যমত চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদিকে ২৫০ শয্যার হাসপাতালে অন্য কোন রুগি নেই। করোনা ভাইরাসের জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল ঘোষণার পরই গত সপ্তাহে আগের সব রুগিকে ছুটি দেয়া হয়। 

বগুড়া সিভিল সার্জন গাওসুল আযিম চৌধুরী জানান, জেলায় ৭৪৩ জন এখনো হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। নতুন করে পাওয়া গেছে ২০ জনকে। আরো বেশ কয়েকজনের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ হয়েছে। করোনা সন্দেহে দুইজনকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের পরীক্ষা ছাড়া কোনভাবেই কিছু বলা যাচ্ছে না। পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হবে। 

বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, ওই দুজনের মধ্যে ধুনটের বাসিন্দা ঢাকায় থাকতেন। তিনি বাড়ি ফিরে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে রবিবার দুপুরে হাসপাতালে আসেন। তাঁকে ভর্তির পর প্রাথমিক পরীক্ষ-নিরীক্ষা করা হয়েছে। তার ফুসফুসের অবস্থা ভালো। অপর যুবকের অবস্থা তুলনামূলক খারাপ।

তবে লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা শুরু হয়েছে। করোনা ইউনিট হিসেবে হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল তাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। তিনি আরো বলেন, হাসপাতালকে করোনা ইউনিট হিসেবে প্রস্তুত করা হলেও এখানে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই। সেসবের চাহিদাপত্র প্রেরণ করা হয়েছে। সরঞ্জাম পাওয়া গেলে চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। তারপরও যারা এই রোগে সংক্রামিত মনে করবেন, তাদের এখানে ভর্তি করা হবে এবং রোগের লক্ষণ দেখে চিকিৎসা দেয়া হবে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে