প্রকাশিত : ২৯ মার্চ, ২০২০ ২২:২২

বগুড়ায় সামাজিক দুরত্ব মানছে না অনেকেই !

ষ্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ায় সামাজিক দুরত্ব মানছে না অনেকেই !

করোনা ভাইরাসে সংক্রমনের হুমকির মুখে পড়ে যেতে পারে বগুড়া শহর। সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে কিছু সংখ্যাক মানুষ বাড়ি থেকে বের হয়ে আসছেন। অপ্রয়োজনে বাহিরে এসে পাড়া মহল্লায় আড্ডায় দিচ্ছে। অনেকেই আবার শহর ঘুরতে বের হচ্ছেন। পুলিশসহ আইন শৃংখলা বাহিনীর অনুরোধ মানছে না অনেকেই। 

জানা যায়, গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ বগুড়া জেলা শহরের বাসিন্দারা বেশ নিয়ম পালন করলেও ২৯ মার্চ সেটি কঠোর ছিল না। অধিকাংশ মানুষ যখন ঘর বন্দি হয়ে আছে। তখন কিছু সংখ্যাক মানুষ ঘর ছেড়ে অপ্রয়োজনে বাহিরে আসছে। খাবার ক্রয়, বাজার করা, ওষুধ ক্রয় করার বিষয়টি ঠিক থাকলেও অনেক তরুণকে রোববার শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে দেখা গেছে।

যাদের মধ্যে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে মাস্ক দেখা গেলেও ঘর থেকে বাহিরে চলে এসে অসচেতনতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। বগুড়া শহরের তিনমাথা, সাতমাথা, বড়গোলা, কালিতলা, ফুলবাড়ি, মাটিডালি, জলেশ্বরীতলা, নবাববাড়ি সড়ক, চেলোপাড়া, কলোনী এলাকায় বেশ কিছু মানুষ দেখা গেছে যারা অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হয়েছে। এমনকি সারাদিনে দুই চারজন করে চলাচল করছেই। এই কয়েকজন যুবকের জন্য অন্যরা উৎসাহিত হতে পারে বলে আনেকে শঙ্কিত হয়ে আছে। ২৬ মার্চ থেকে থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত সরকারি ছুটি ছিল। তখন শহরে রাস্তায় মানুষ যানবহানের চলাচলে ছিল নিয়ন্ত্রন। লোক শহর হঠাৎ করে জন সমগম বেড়ে যাওয়াতে  করোনা ভাইরাস (কোভিট-১৯) এর হুমকি বেড়ে যায়।

এদিকে শহরের গত দুইদিনের চেয়ে রোববার ছিল বেশি সংখ্যাক যানবাহন। জেলা শহরের রাস্তায় রাস্তায় বগুড়া সদর থানা পুলিশ, র‌্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের সদস্যরা, সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাইকে, পৌরসভা, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, এমনকি জেলা প্রশাসন থেকে বিভিন্নভাবে প্রচার প্রচারণা করা হলেও কিছু সংখ্যাক যুবক এই নিয়ম মানছেন না।বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম বদিউজ্জামান জানান, কেউ যদি সামাজিক দুরত্ব মেনে না চলে, আর করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষায় সচেতন না হয় তাহলে কঠোর হতে হবে। আমরা সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করছি, ঘরে থাকতে। তারপরও তারা ঘরে থাকছে না। অনুরোধ কত সময় করা যাবে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে