বগুড়ায় ঘরে ফিরে যেতে সেনা-পুলিশ- র্যাবের কড়া নির্দেশ
![বগুড়ায় ঘরে ফিরে যেতে সেনা-পুলিশ- র্যাবের
কড়া নির্দেশ](./assets/news_images/2020/04/08/CB20040802.jpg)
বগুড়ায় ব্যাপক কড়াকড়ি নিয়ম পালন করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাবসহ অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কঠোর হওয়ায় শহরে লোকসমাগম কমে গেছে। চলছে পাড়া মহল্লায় অভিযান। বগুড়া সদর থানা থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা গিয়ে করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে বগুড়া আইসোলেশনে ভর্তি করোনা ভাইরাস রোগীসহ ৫ জনের শারীরীক অবস্থা আগের থেকে ভাল রয়েছে। আর হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে ৩০৪ জন।
সরকারিভাবে জরুরী সেবা ওষুধ ও ক্লিনিক ছাড়া কোন দোকানপাট আর জেলায় খোলা রাখা যাবে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে হবে বিকাল ৫টার মধ্যে। এরপর বাহিরে দোকানপাট খোলা হলে বা অযথা বাহিরে বা রাস্তা ঘাটে বের হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে গণবিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। এদিকে মঙ্গলবার বিকাল ৫টার পর থেকে বিভিন্ন এলাকায় এলাকায় মাইকে মাইকে ঘরে যেত কঠোর নির্দেশ প্রদান করে। সেবাহিনীর সদস্য, পুলিশ সদস্য, র্যাব সদস্যদের বিভিন্ন এলাকায় ঘরে ফিরে যেতে কঠোর নির্দেশনা দিয়ে মাইকিং করেন। এতে করে বেশিভাগ এলাকা জনশুণ্য হয়ে পড়ে। অনেকেই আবার বিকাল ৫টার মধ্যেই দোকান পাট বন্ধ করে বাড়ি ফিরে যায়।
সরকারী মোহাম্মাদ আলী হাসপাতাল করোনা আইসোলেশন কেন্দ্রে গত এক সপ্তাহে শ^াসকষ্ট নিয়ে মোট ১০ জন ভর্তি হয়। সুস্থ্য ও চিকিৎসা প্রদানের পর এখন হাসপাতালে আছে একজন কোরানা ভাইরাসের রুগি সহ ৪ জন শ^াস কষ্টের রুগি। চিকিৎসকরা বলছেন ৫জন রুগিই আগের থেকে শারীরিকভাবে তারা বেশ সুস্থ্য আছে। ৪ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এই রিপোর্ট নেগেটিভ হলে ওই চারজনকে ছাড়পত্র দেয়া হবে। বগুড়া জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ গওসুল আজিম চৌধুরী জানান, বগুড়ায় নতুন করে একজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এছাড়া মঙ্গলবার ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৪৯ জনকে।
সবমিলিয়ে কোয়ারিন্টাইনে আছে এখন ৩০৪ জন। বগুড়ার সরকারী মোহাম্মাদ আলী হাসপাতাল করোনা আইসোলেশন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক, এটিএম নুরুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার পর্যন্ত বগুড়া আইসোলেশন কেন্দ্রে ভর্তি থাকা রুগিরা ভাল আছে। আগের থেকে তাদের শারীরিক অবস্থা ভাল আছে। একজন করোনা ভাইরাস পজেটিভ রোগির অবস্থাও ভাল। তার আবারো পরীক্ষা করানো হবে। আইসোলেশনের অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা তাদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন।
দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন