বগুড়ায় বোরোর মৌসুমেও বিসিকে এখন নিরবতা
![বগুড়ায় বোরোর মৌসুমেও বিসিকে এখন নিরবতা](./assets/news_images/2020/04/13/bogura.jpg)
করোনার প্রভাব পড়েছে বগুড়ার বিসিক শিল্প নগরীতে। ঠিকমত শ্রমিক আসতে না পারায় এবং অঘোষিত লক ডাউনের কারণে বিসিকের চাকা ঘুরছে না। থেমে গেছে। চলতি বোরোর সেচ মৌসুমে কৃষি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও উৎপাদনে যেতে পারছে না বিসিকের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো। প্রথমদিকে দুই একটি প্রতিষ্ঠান চললেও এখন পুরোটায় বন্ধ হয়ে গেছে।
বগুড়া বিসকের বাহিরেও ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে থাকা কৃষি যন্ত্রংশের শিল্পকারখানার চাকা বন্ধ হয়ে গেছে। করোনার প্রভাবে বোরো মৌসুমের আগে শিল্পনগরীর বগুড়ার প্রায় দেড় সহস্রাধিক ফাউন্ড্রি (ঢালাই কারখানা) ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া বোরো চাষের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশংকা দেয়া দিয়েছে। এই শিল্পের সাথে জড়িত প্রায় ২০ হাজার শ্রমিকের কর্মহীন হয়ে পড়েছে। অথচ গত বছর এই সময়ে বগুড়া বিসিকে ছিল কর্মচঞ্চলতা।
বগুড়া বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মালেক জানান, বোরো মৌসুমে জেলা ফাউন্ড্রি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প কারখানাগুলোকে কৃষি যন্ত্রাংশ তৈরীতে রাত-দিন ব্যাস্ত থাকতে হয়। বগুড়া থেকে সাড়ে তিনশ’ টন যন্ত্রাংশ উৎপাদন হয়। এই উৎপদিত কৃষি যন্ত্রাংশ দেশের উত্তরাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, সিলেট, কুষ্টিয়া যশোরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা সরবরাহ করা হয়। ফাউন্ড্রি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং এ শিল্প ছাড়া ষ্টিল মিল, এ্যালুমিনিয়াম কারখানা, জুট মিল, তেলের মিলের যন্ত্রাংশ প্রস্তুত হয়ে থাকে বগুড়া থেকে। এছাড়া বগুড়া থেকে উৎপাদিত কৃষি যন্ত্রাংশ সেন্ট্রিফিগাল পাম্প রফতানি হয়ে থাকে। করোনার প্রভাবে থমকে গেছে জেলার শিল্প নগরীর উৎপাদন। বোরো চাষ সেচের উপর নির্ভরশীল। শুষ্ক মৌসুমে পানির স্তর নিচে নেমে গেলে সেচ পাম্পের যন্ত্রাংশের সংকট দেখা দিতে পারে বলে কৃষি কর্মকর্তাদের অভিমত।
বগুড়া জেলা বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সভপতি আরো জানান, তাদের ফ্যাক্টরী থেকে উৎপাদিত কৃষি যন্ত্রাংশের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে কৃষকদের উৎপাদন ব্যাহত হতে হবে। কারখানা মালিকদের লোকশানের মুখে পড়তে হবে। বেশির ভাগ কৃষি যন্ত্রাংশ উৎপাদন কারি ফ্যাক্টরী ব্যাংক ঋণের উপর নির্ভরশীল। উৎপাদন বন্ধ হলে তাদের ব্যাংক ঋণের বোঝা বহন করতে হবে। কাজ বন্ধ থাকলেও কর্মহীন শ্রমিকদের বেতন-ভাতা গুণতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ঢালাই কারখানা ও লাইট ইঞ্জিনিয়ািরং শিল্পে সরকারের প্রনোদনা দেয়া উচিত। একই সাথে ব্যাংকের ঋণের সুদের হার স্থগিত করা দরকার।
দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন