প্রকাশিত : ২২ এপ্রিল, ২০২০ ২৩:১৪

গাইবান্ধায় করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ জনসচেতনতা সৃষ্টিতে সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করতে হবে

হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি
সিরাজুল ইসলাম রতন গাইবান্ধা থেকেঃ
গাইবান্ধায় করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ জনসচেতনতা সৃষ্টিতে সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করতে হবে

গাইবান্ধায় করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ জনসচেতনতা সৃষ্টিতে সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করতে হবে। এজন্য গাইবান্ধার সর্বস্তরের মানুষের ঐক্যবদ্ধ এবং ঐকান্তিক প্রচেষ্টা একান্ত অপরিহার্য বলে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি এমপি উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং জনসমাগম না করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে দুঃস্থদের মধ্যে মানবিক সহায়তা পৌছে দিতে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে আহবান জানান।  

বুধবার নোভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রনে গাইবান্ধা জেলা কমিটির এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। কালেক্টরেট সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিনের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সরকার আতা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেড কোয়াটার্স মো. আবু খায়ের, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ সারোয়ার কবীর, পৌর মেয়র অ্যাড. শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলন, সিভিল সার্জন ডাঃ এবিএম আবু হানিফ, জেলা সদর হাপসাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ মাহফুজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফরহাদ আব্দুল্যাহ হারুন বাবলু, সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, জেলা বিএমএ সভাপতি ডাঃ মতিয়ার রহমান, জেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা, গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সাবু, গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রতিনিধি মো. আফতাব হোসেন, এসকেএস ফাউন্ডেশনের আশরাফ আলম প্রমুখ। এতে জেলা পর্যায়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

সভায় গাইবান্ধা জেলার নোভেল করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত- সার্বিক তথ্য তুলে ধরা হয় এবং করোনা ভাইরাস পরিস্থি'তি নিয়ন্ত্রনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃিহত হয়। উল্লেখ করা হয় যে, করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় জেলার প্রস্তুতি  হিসেবে ৭টি সরকারি হাসপাতালে মোট ৪শ’ ৮১টি বেড রয়েছে। এরমধ্যে প্রস্তুতকৃত বেডের সংখ্যা ৩৫টি ও বেসরকারি ১৯টি। এছাড়া জেলায় মোট ১শ ২৬ জন ডাক্তার ও বেসরকারি ১৯ জন ডাক্তার বর্তমানে কর্মরত রয়েছে। সরকারি নার্স ১শ’ ৯০ জন এবং বেসরকারি নার্স ১৯ জন। চিকিৎসকদের জন্য সরকারি ৫ হাজার ৫শ’ ৩৫টি এবং বেসরকারি ১১০টি ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) মজুদ রয়েছে।

এরমধ্যে ৪ হাজার ১০৫টি পিপিই বিতরণ করা হয়েছে। অপরদিকে ১৪ হাজার মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে এবং ৭শ’ মাস্ক মজুদ রয়েছে। এছাড়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদেও  জরুরী চিকিৎসায় স্থানান্তরের নিমিত্তে ২টি এ্যাম্বুলেন্স ও ২টি মাইক্রোবাস সর্বক্ষনিক প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া চিকিৎসা কেন্দ্রে জরুরী বিভাগে ১শ’টি আইসোলেসন কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।এছাড়া করোনা ভাইরাস সংক্রান- দুর্যোগ নিয়ন্ত্রনে দুঃস'দের মধ্যে মানবিক সহায়তা প্রদানে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত হয় এবং সরকারি মানিবক সহায়তা বিতরণ বিষয়ে সার্বিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে জরুরী সরকারি মানবিক সহায়তা বিতরণ কার্যক্রমও চলমান রয়েছে।

জেলায় জিয়ার ৯ লাখ ৭২ হাজার মে. টন চাল, জিয়ার নগদ ৪৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা এবং শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ১০ হাজার টাকা উপ-বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে জেলায় ১ লাখ ১৩ মে. টন চাল এবং ৭ লাখ নগদ টাকা মজুদ রয়েছে। আরও উল্লেখ করা হয়, এ পর্যন- জেলার ৭টি উপজেলা ও ৪টি পৌরসভায় ৮৩ হাজার ৯শ’ দরিদ্র শ্রমজীবি কৃষক পরিবারের মধ্যে ৮শ’ ৩৯ মে. টন খাদ্য সামগ্রী ও ৭১ হাজার ১শ’ ৫০টি পরিবারের মধ্যে ৩৭ লাখ ৯৬ হাজার ৭৫০ টাকা বিতরণ করা হয়। তদুপরি বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়াও বর্তমানে জেলায় ১ লাখ ৪৩ মে. টন চাল এবং ১৬ লাখ ৩৮ হাজার ২৫০ টাকা মজুদ রয়েছে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন

 

উপরে