প্রকাশিত : ২২ এপ্রিল, ২০২০ ২৩:২২

‘করোনা সংক্রমন রোধে জয়পুরহাটে হুইপ স্বপনের নানা উদ্যোগ’

ব্যুরো প্রধান,জয়পুরহাটঃ
‘করোনা সংক্রমন রোধে জয়পুরহাটে হুইপ স্বপনের নানা উদ্যোগ’

জয়পুরহাটে করোনাভাইরাস সংক্রমন রোধে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে মঙ্গলবার তাঁর নির্বাচনী এলাকা ক্ষেতলাল ও কালাই উপজেলায় সকাল সন্ধ্যা জরুরি সভা ডেকে নানা শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় করেন। এর আগে সোমবার পৃথকভাবে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ,সার্কিট হাউজ,সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন ও আক্কেলপুরে জরুরি সভা করেন।
 
করোনা সংক্রমন রোধ ও জনসেবা নিশ্চিতকরণে আয়োজিত ওইসব সভায় জেলা প্রশাসন,পুলিশ বিভাগ,সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা,স্বাস্থ্য বিভাগ,জনপ্রতিনিধি, জেলা ও উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা এবং জেলা আ’লীগের নেতা-কর্মীরাদের সাথে তিনি মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি করোনাভাইরাস সংক্রমন রোধে জেলায় নানা উদ্যোগের ঘোষণা দিয়ে দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে আন্তরিকতার সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতির পাশে দাঁড়ানোর জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।  
 
হুইপের গৃহীত উদ্যোগের মধ্যে সরকারি সুবিধাপ্রাপ্তিদের একটি স্বচ্ছ তালিকা প্রস্তুত করা। যা প্রতিটি ইউনিয়নে আ’লীগ ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল, শিক্ষক, সমাজকর্মী ও ঈমাম সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে আলোচনা করে ইউনিয়ন পরিষদ ও সরকারি কর্মকর্তাগণ তৈরি করবেন। জয়পুরহাটের গোপীনাথপুরে একমাত্র নিরাপদ অতিথিশালায় এখন থেকে শুধুমাত্র করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসা চলবে। একই সাথে আজ থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও অন্য জেলা থেকে আগত ব্যক্তিদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেন তিনি।
 
যারা পরিবারের সান্নিধ্যে যাওয়ার আগেই ১৪ দিন থাকবেন জয়পুরহাট কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পাঁচবিবি মহিলা কলেজ ও কালাই মহিলা কলেজ প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টারে। যারা হোম কোয়ারেন্টিন মানবেন না তাদেরও রাখা হবে এসব প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে। আর সেন্টারগুলো সুপারভিশন করবে দায়িত্বরত সেনাবাহিনী। এ ছাড়া জয়পুরহাটে থেকে প্রতিদিন ১০০ জনের করোনা পরীক্ষা করারও ঘোষনা দেন তিনি। যা আজ থেকেই বাস্তবায়ন হবে। এ জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের বর্তমান জনবলের সঙ্গে অস্থায়ী ভিত্তিতে প্রশিক্ষিত জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য বিভাগকে প্রয়োজনীয় পরিবহন সহায়তা, নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি ও টেষ্ট উপকরণ সরবরাহ করা হবে। আর এসবের ব্যয়ভার তিনি নিজে সহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগ বহন করার কথাও জানান তিনি।

জেলার সকল হাট-বাজার,মহল্লার দোকান-পাট সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিতকল্পে ইতিপূর্বে গৃহীত পদক্ষেপের সফলতা ও সমস্যা বিবেচনা করে পুনর্বিন্যাস ও দুরত্ব নিশ্চিত করতে বাধ্য করার পাশাপাশি সকলের অংশগ্রহণে স্বেচ্ছাসেবক গঠনেরও কথা জানান তিনি। হটলাইনের মাধ্যমে যে কোন নাগরিকের চাহিদা মোতাবেক স্বেচ্ছাসেবীরা ঔষধ,চিকিৎসা সেবা,নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী শুধুমাত্র সংগ্রহ ও পৌঁছানোর সহযোগীতা করবে কোন পারিশ্রমিক ছাড়াই।  

হুইপ বলেন,আমরা এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তিন মাস জয়পুরহাট জেলার ৬০ ভাগ মানুষের খাদ্য সহযোগীতা নিশ্চিত করতে চাই। দেশের এই ক্রান্তিকালে অসহায় মানুষদের বাঁচানো এখন আমাদের বড় চালেঞ্জ। এজন্য তিনি সকলকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ঘরে থাকার আহবান জানান। জরুরি সভায় পরামর্শমূলক বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাম কবির,জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান রকেট, সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিম মিঞা সহ অন্যরা। 

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন

 

উপরে