প্রকাশিত : ১৪ মে, ২০২০ ০৪:০০

৩৩৩ এ ফোন পেয়ে ৮০০ পরিবারে খাদ্য দিলেন বগুড়া সদর ইউএনও

ষ্টাফ রিপোর্টার
৩৩৩ এ ফোন পেয়ে ৮০০ পরিবারে
খাদ্য দিলেন বগুড়া সদর ইউএনও

বগুড়ায় করোনা সংকটের মধ্যে নিম্ন আয়ের ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেকেই খাদ্য সহায়তা চাইতে সরকারি ডিজিটাল তথ্য ভান্ডার ৩৩৩ ফোন করছে। খাদ্য সহায়তা চাওয়া ব্যক্তিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার দিয়ে আসছেন বগুড়া সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা আজিজুর রহমান। তিনি গত দেড় মাস ধরে প্রায় ৮০০ পরিবারে খাবার দিয়েছেন। খাবার দেয়ার আগে যাচাই বাছাই করে এই খাদ্য সামগ্রী দেয়া হচ্ছে বলে উপজেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে। খাদ্য সামগ্রী করেনা ভাইরাসের প্রভাব থাকাকালে অব্যহত থাকবে। 

বগুড়া সদর উপজেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, এপ্রিল মাসে ৫৫০ জন ও চলতি মে মাসে আড়াই শতাধিক ফোন করেছেন খাদ্যের জন্য। ফোন নম্বরের সুত্র ধরে সংশ্লিষ্ঠ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অথবা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মেম্বারদের মাধ্যমে যাচাই বাছাই করে খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ও পৌরসভার ওয়ার্ডে সরকারী খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিক সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় করোনা মোকাবেলায় সচেতনতামূলক প্রচারনায় কাজ অব্যহত রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্প আশ্রয়ণ ও গুচ্ছগ্রামের অসহায় কর্মহীন পরিবারসহ কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন।

শহরের অলিতে গলিতে থাকা অভুক্ত-অর্ধভুক্ত কুকুরগুলোকে খাবার হিসেবে খিচুড়ি কখনো বা পাউরুটি ইত্যাদি খাবারও দেয়া হয়েছে। গত এপ্রিল মাসে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৭৯ মামলায় ৮৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। ত্রিপল দিয়ে ট্রাকে করে যাত্রী নিয়ে যাওয়া সহ নিয়ম না মেনে মোটর সাইকেল চালানোয় এসব মামলা করা হয়। ফসলী জমি নষ্ট করে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলনের কারনেও মামলা করেছেন। শহর ও ইউনিয়ন পর্যায়ের রাস্তা ও বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে দোকানের সামনে পাবলিক গ্যাদারিং ও ২/৩ জন করে মোটর সাইকেলে অসচেতনভাবে ঘোরাঘুরি করায় অভিযানের মাধ্যমে সতর্ক করেছেন ইউএনও। তার এসব কাজে উপসহকারী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান সহ প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থাকছেন।

বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা আজিজুর রহমান জানান, ডিজিটাল পদ্ধতি অবলম্বন করে খাদ্য সহায়তা গ্রহন করছেন অনেকেই। তার মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ রয়েছে। সবার সমানে বলতে পারেন না বলে তারা তো ৩৩৩ ফোন করে খাদ্য সহযোগিতা চাচ্ছেন। তাদের ফোন পেয়ে ঐসব মানুষের দ্বারে দ্বারে খাদ্য পৌঁছে দেয়া হয়েছে। ফোন কারিদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে তাদের কে খাবার প্রদান করা হচ্ছে। হিজড়া সম্প্রদায়, নিম্ন আয়ের, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে, শিশু খাদ্য, ইউনিয়ন পর্যায়েও খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রায় ১৩ হাজার খাবার প্যাকেট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান দিয়ে ঘরে ঘরে পৌঁছানো হয়েছে।

পাশাপাশি করোনা মোকাবেলায় সর্বদা কাজ করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে ঘরে ফেরানো, হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা সহ যান চলাচল নিয়ন্ত্রনে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন তিনি। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শনা বাস্তবায়নে মাঠে রয়েছেন। 

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে