প্রকাশিত : ১৩ জুন, ২০২০ ১৮:০৪

জলঢাকায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর ধর্ষনের ঘটনায় ধামা-চাপা

আল-ইকরাম বিপ্লব, জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
জলঢাকায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর ধর্ষনের ঘটনায় ধামা-চাপা

নীলফামারীর জলঢাকায় এক ৫ম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষনের ঘটনায় দেড় লক্ষ টাকায় ধামা-চাপা দেওয়ার চেষ্টা। এমন অভিযোগ উঠেছে ডাউয়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রোকনুজ্জামান খোকন’র বিরুদ্ধে। শুক্রবার দুপুরে সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে, এ অভিযোগের সত্যতা পেলেও বিষয়টি এড়িয়ে যান ওই চেয়ারম্যান। ঘটনাটি ঘটেছে, মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সিদ্ধেশ্বরী মস্জিদপাড়া গ্রামে। জানা যায়, জনৈক নুর ইসলামের নিজ বাড়ীতে তার একমাত্র নাবালিকা মেয়েকে ফুসলিয়ে শয়নঘরে মুখ চেপে জোর পূর্বক ধর্ষন করে প্রতিবেশী প্রয়াত আপতার আলীর ছেলে কালাম উদ্দিন (৪০)।

এমনটি দাবী করে সংবাদকর্মীদের জানিয়েছেন ওই নাবালিকার দাদা মজিবর রহমান (৭০) সহ প্রতিবেশীরা। মেয়েটির মা বলেন, ‘আমার স্বামী সহ মেয়েকে বাড়ীতে রেখে ভুট্টা ক্ষেতে কাজ করতে যাই। এই সুযোগে কালাম সিগারেট খাওয়ার জন্য গ্যাসলাইটের কথা বলে মেয়েটাকে আমার ঘরে ডেকে নিয়ে আসে এবং আমি এসে দেখি মুখ চেপে ধরে হুড়াজুড়া করছে। পরে ছালাম, খায়রুল চেয়ারম্যানের বাড়ীতে বসে মিমাংসার জন্য ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ষ্ট্যাম্পে সই নিয়ে রাখে বাকী ২০ হাজার টাকা  এই মাসের ২২ তারিখে দিয়ে মীমাংসা করবে। টাকাটা চেয়ারম্যানের কাছে জমা আছে।’ ‘আমি টাকা চাইনা, আমার মেয়ের সম্মানহানী হয়েছে এর ‘বিচার চাই’।’ অভিযুক্ত কালামকে বাড়ীতে পাওয়া না গেলে তার স্ত্রী আরজিনা বেগম (৩৩) মীমাংসার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘চেয়ারম্যানের বাড়ীতে বসে ঘটনাটি মীমাংসা করা হয়েছে।

’ এ বিষয়ে চেয়ারম্যানের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ‘নিউজ করো, এই কথা বলে ফোনটি কেটে দেন।’ ওই গ্রামের প্রতিবেশীরা জানায়, ওই কালাম দুঃচরিত্র প্রকৃতির লোক। সে পূর্বেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছে এবং নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা আদালতে চলমান আছে। এমন ঘটনায় কি করে চেয়ারম্যান আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে দেড়লক্ষ টাকায় বিষয়টি ধামা-চাপা দিচ্ছে এ নিয়ে এলাকার মানুষের মনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে