তাড়াশ আওয়ামীলীগ পরিবারের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এমপির মৃত্যুতে “বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাড়াশ উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল হক, সাধারণ সম্পাদক বাবু সঞ্জিত কুমার কর্মকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ শাহিনুর আলম লাবু, প্রচার সম্পাদক আসাব আলী কিরণ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল খালেক পিয়াশ, সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল কোবির লিমন, বর্ষীয়ান নেতা অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান, উপ আইন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মনিরুল ইসলাম মাস্টার, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন বিদ্যুৎ,উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শামীম রেজা, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, সহ সংগঠনের সকল সাংগঠনিক ইউনিট শাখা-প্রশাখা সকল প্রকার নেতাকর্মীর পক্ষ থেকে, আজ এক শোক বার্তায় মোহাম্মদ নাসিমের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোক বার্তায় নেতৃবৃন্দ বলেন, মোহাম্মদ নাসিম একজন আপাদমস্তক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, শহীদের সন্তান, রাজনৈতিক পরিমন্ডলে যার বেড়ে উঠা, বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে যার পরিবারের নাম জড়িত, তিনি ছিলেন একজন পরিপূর্ণ অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ। দেশের সব প্রগতিশীল আন্দোলনের অগ্রবর্তী মানুষ।
এই ভূখণ্ডে ধর্মান্ধতা ও মৌলবাদবিরোধী নানা আন্দোলনে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার পাশে থেকে বাংলাদেশকে যারা উন্নয়নের মহাসোপানে নিয়ে যাওয়ার জন্য অসামান্য অবদান রেখেছেন মোহাম্মদ নাসিম তাদের অন্যতম।
এই দুর্যোগময় মুহূর্তে তার চলে যাওয়া জাতির জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তার দেশপ্রেম ও আদর্শ ভবিষ্যত প্রজন্মের পাথেয় হয়ে থাকবে।শোক বার্তায় নেতৃবৃন্দ মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।চির বিদায় নিলেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। আটদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে আজ শনিবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটে রাজধানীর শ্যামলী বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের মুখপাত্র বর্ষিয়ান জননেতা মোহাম্মদ নাসিম গত ৫ জুন ভোরে ব্রেন স্ট্রোক করেন। ওইদিনই জরুরিভাবে তার অপারেশন করা হয়।
অপারেশনের পর চিকিৎসকরা তাকে ৪৮ ঘণ্টার নিবিড় পযবেক্ষণে রেখেছিলেন। পরে গত ৬ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ৫ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। বিকেলে মেডিক্যাল রোর্ড সভা করে তার শারীরিক অবস্থা পযালোচনা করেন। চিকিৎসকদের বোর্ড তাকে ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নেন। ওইসময়ের মধ্যে তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে ডিপ কমাতে রাখা হয় ৷গত ১ জুন সকালে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে রাজধানীর শ্যামলী বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। পরে রাতে তার করোনা পরীক্ষার রিপোর্টে পজিটিভ আসে।
তবে পরদিন থেকে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয় ৷ কিন্তু গত ৫ জুন সকালে মোহাম্মদ নাসিম ব্রেন স্ট্রোক করেন। এর আগে ওয়ান ইলেভেনের সময় কারাবন্দি অবস্থায় স্ট্রোক করেছিলেন নাসিম। এবার ছিল তার দ্বিতীয় দফায় স্ট্রোক। এ অবস্থায় গত ৯ জুন তার পুনরায় করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করা হয় ৷ ওই দিন করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে ৷ পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়ার চেষ্টাও করা হয় ৷ কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি হওয়ায় বিদেশ নেওয়ার মতো অবস্থা থাকে না। ফলে চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি ৷
দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন