বগুড়ায় যুবলীগ নেতা আবু তালেবকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার পর তাদের হেফাজতে থাকা খুনে ব্যবহৃত ধারালো দুটি চাকু উদ্ধার করেছে। শনিবার বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলো বগুড়া সদরের আকাশতারা গ্রামের আফসার প্রামানিকের ছেলে চাঁন মিয়া (২১) ও একই এলাকার কাইয়ুম প্রামাণিকের ছেলে বাপ্পারাজ ওরফে বাপ্পা (২৪)। এই দুজনকে রক্তমাখা পোশাকসহ গ্রেফতার ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দুটি চাকু উদ্ধার করেছে পুলিশ কর্মকর্তরা।  বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক এমরান মাহমুদ তুহিনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শুক্রবার রাতে শহরের বারপুর এলাকা থেকে রক্তমাখা পোশাক পরিহিত অবস্থায় আসামিদের গ্রেফতার করে। হত্যাকান্ডের পর থেকে পালিয়ে বেড়ানোর কারণে আসামিরা পোশাক পরিবর্তন করতে পারেনি বলে জানান এক পুলিশ কর্মকর্তা।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা পুলিশের কাছে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং তাদের দেখানো স্থান থেকে চাকু উদ্ধার করা হয়। তারা আরো জানিয়েছে যে, গ্রেফতারকৃতদের শাসন করার মত করে কথা বলায় তর্কের এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাতে আবু তালেব নিহত হয়। হত্যাকান্ডে ফিরোজ ওরফে ফোকরা নামে আরও একজন জড়িত।উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন দুপুর দেড়টার দিকে সাবগ্রাম বন্দর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তালেবকে (৩৫) শহরের আকাশতারা জুট মিলের সামনে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যা করা হয়। পরদিন নিহত তালেবের স্ত্রী রোখসানা বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় গ্রেফতারকৃত দুই জন ও ফিরোজের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭-৮ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন