প্রকাশিত : ২১ জুন, ২০২০ ২২:৫০

বগুড়ায় করোনায় ৩ জন উপসর্গে ৪ জনের মৃত্যু

ষ্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ায় করোনায় ৩ জন 
উপসর্গে ৪ জনের মৃত্যু

বগুড়ায় গত ২৪ ঘন্টায় সরকারি ও বেসরকারী হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৩ জন এবং উপসর্গ নিয়ে আরও ৪ জনসহ মোট ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্য একজন প্রকৌশলী, একজন প্রত্নতত্ত্ববিদ, শিক্ষক, আইনজীবী, যুবক ও দুইজন নারী রয়েছেন। গত শনিবার বিকেল ৩টা থেকে রবিবার দুপুর ৩টার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যবিভাগ। 

এদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোহাম্মদ সালাউদ্দিন (৫৪), সাফিউল আলম (৫৯), আরেফা বেগম (৯৫) মারা যান। আর উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন বগুড়ার প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের আঞ্চলিক সহকারী পরিচালক (এডি) মজিবুর রহমান (৫৮), খান্দারের কোহিনুর বেগম (৫০), দুপচাঁচিয়ার উপজেলার পরশ মিয়া (৩৫), বগুড়া সদরের আইনজীবী মো. এমাজউদ্দিন (৬২)। বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, রোববার সকাল ৮ টায় টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোহাম্মদ সালাউদ্দিন মারা যান।

মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ঢাকা সদর দপ্তরের রাজশাহী উন্নয়ন প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী ছিলেন। লকডাউনের পর থেকে তিনি বগুড়ায় পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন। এর আগে সালাউদ্দিন নারায়নগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী ছিলেন। গাবতলী উপজেলার হামিদপুর এলাকার বাসিন্দা গাবতলীর লাঠিগঞ্জ স্কুল ও কলেজের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত সাফিউল আলম এবং শনিবার বিকেল পৌনে চারটার করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরেফা বেগম (৯৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি শহরের রিয়াজ কাজি লেনের মৃত মনোয়ার হোসেনের স্ত্রী। পরে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাঁর মরদেহ শহরের সবুজবাগ এলাকায় পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। এদিকে করোনার উপসর্গ নিয়ে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের আঞ্চলিক সহকারী পরিচালক (এডি) মজিবুর রহমান (৫৮) মারা গেছেন।

তিনি গাজীপুরের কাপাসিয়া এলাকার বাসিন্দা হলেও মহাস্থানগড়ে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের কোয়ার্টারে থাকতেন। শনিবার রাত ৮টায় বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশনে ইউনিটে মারা যান। শনিবার দুপুরে শহরের খান্দার এলাকার এক নারী কহিনুর এবং শনিবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসিইউতে মো. এমাজউদ্দিন (৬২) নামে এক আইনজীবী উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. খায়রুল বাশার মোমিন জানান, করোনায় ২জন মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে এবং অপরজন বেসরকারি হাসপাতালে মারা যাওয়ার কথা শুনেছি। আর আরো ৪ জন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে।

মারা যাওয়া এমাজউদ্দিনের করোনা আছে কিনা তা জানার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া তার লাশ জীবানুমুক্ত করে পাবনার সাথিয়ায় পাঠানো হয়। উপসর্গে কোহিনুর বেগম (৫০) নামে এক নারী, দুপচাঁচিয়ার উপজেলার পরশ মিয়া (৩৫) নামে এক যুবক মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। লাশ স্বাস্থ্য বিধি মেনে দাফন করতে বলা হয়। 

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে