প্রকাশিত : ২৬ জুন, ২০২০ ২১:১১

জলঢাকায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন প্যানেল প্রত্যাশীরা

আল ইকরাম বিপ্লব, জলঢাকা নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
জলঢাকায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন প্যানেল প্রত্যাশীরা

সারাদেশে চলমান প্রাথমিক শিক্ষক সংকট নিরসনে প্যানেল শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন নীলফামারী জলঢাকার প্যানেল প্রত্যাশীরা। জানা গেছে, ২০১৮ সালে দীর্ঘ ছয় বছরের একমাত্র সার্কুলারে আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ২৪ লাখেরও বেশি। আর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় মাত্র ৫৫ হাজার। যা মোট প্রার্থীর ২.৩ শতাংশ। চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয় ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে। বাকি ৩৭ হাজার চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হননি। চূড়ান্ত মনোনীতদের মধ্যে অনেকেরই অন্য চাকরি হয়ে যাওয়ায় যোগদান করেনি। অনেকে আবার ৩৮ তম বিসিএস ও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন রেজাল্টের অপেক্ষায় আছেন।

এ ছাড়া মহামারি করোনাভাইরাসের প্রভাবে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকটা ভেঙে পড়েছে। তাই করোনা পরবর্তী এ সংকট কাটিয়ে উঠতে প্যানেলে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া এখন সময়ের দাবি।  বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। মুজিববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে এবং প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী প্রতি ঘরে ঘরে একজন করে সরকারি চাকরি প্রদান ও করোনা পরবর্তী শিক্ষা প্রণোদনা হিসেবে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক নিয়োগে প্যানেল শিক্ষকদের দাবি এখন সর্বমহলে আলোচিত। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া তথ্যমতে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সারাদেশে ২৮ হাজার ৮৩২টি সহকারি শিক্ষকের শূন্য পদ ছিল। বর্তমানে সে সংখ্যা ৬০ হাজারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষকের এই চরম সংকট নিরসনে প্যানেল শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন জলঢাকা উপরজেলার প্যানেল প্রত্যাশীরা। সহকারী শিক্ষক ২০১৮ প্যানেলে নিয়োগ দিয়ে নিয়োগ প্রত্যাশীদের বেকার সমস্যা দূর করার আহ্বান জানান জলঢাকা উপজেলার প্যানেল বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি তরিকুল ইসলাম।

তিনি জানান, নীলফামারী জেলার ৬টি উপজেলায় ৮২৭ জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও চুড়ান্ত সুপারিশ প্রাপ্ত হন মাত্র এক-তৃতীয়াংশ প্রার্থী। প্রাথমিক ও গণশিক্ষার মহাপরিচালক মহোদয়ের বক্তব্য অনুযায়ী প্রাথমিকের মৌখিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য নেই, উপস্থিত হলেই ১৪/১৫ মার্কস। তাই আমরা যারা প্যানেল প্রত্যাশী সকলেই চাকরি পাওয়ার যোগ্য দাবীদার। তিনি আরও বলেন, করোনা মহাসংকট কালে চলমান শিক্ষক সংকট দূরীকরণে নতুন শিক্ষক নিয়োগ প্রদান একটি দীর্ঘ মেয়াদী সময় সাপেক্ষ ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া। তাই নিয়োগ বঞ্চিত এসকল মেধাবীদের প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগ দিলে একদিকে যেমন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট দূর হবে তেমনি নিয়োগ বঞ্চিত এসকল মেধাবীরা বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে