শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন নেকটার বগুড়ার উপ-পরিচালক মাহমুদুর
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি পরিবীক্ষণ কাঠামোর আওতায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে দাপ্তরিক কাজে পেশাগত দক্ষতাসহ শুদ্ধাচার চর্চা বিষয়ক বিভিন্ন সূচকে সন্তোষজনক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের স্বীকৃতিস্বরুপ ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার’ পেয়েছেন জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমী (নেকটার) বগুড়ার উপ-পরিচালক আলহাজ¦ মুহাম্মদ মাহমুদুর রহমান।
জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান নীতিমালা-২০১৭ অনুসরণে শুদ্ধাচার চর্চার লক্ষ্যে প্রতিবছর সরকারের প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে সকল সরকারী প্রতিষ্ঠানে একজন কর্মকর্তা এবং একজন কর্মচারী কে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখা, কর্মদক্ষতা, সরকারি নির্দেশ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখাসহ বিভিন্ন সূচক বিবেচনা করে বাছাই এর মাধ্যমে ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার’ প্রদান করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্তদের প্রদান করা হয় তার এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ এবং শুদ্ধাচার সনদপত্র যার ধারাবাহিকতায় এই বছর নেকটার বগুড়ায় কর্মকর্তা হিসেবে এই সম্মানজনক পুরস্কার লাভ করেছেন উপ-পরিচালক মাহমুদুর রহমান
এবং প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন অফিস সহকারী গোলাম মোস্তফা যাদের ইতিমধ্যেই এই পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে মর্মে জানানো হয় নেকটার বগুড়া কার্যালয় থেকে। উল্লেখ্য, আলহাজ¦ মাহমুদুর রহমান বগুড়া শাজাহানপুরের বোহাইল গ্রামের মরহুম নবীর উদ্দিন (পন্ডিত) এর সর্বকনিষ্ঠ ছেলে। তিনি ১৯৮৪ সালে সহকারী প্রশিক্ষক হিসেবে প্রথম যোগদান করেন নেকটারে। পরবর্তীতে ১৯৯২ সালে পদোন্নতি পেয়ে প্রশিক্ষক এবং দীর্ঘ পরিচ্ছন্ন এবং সৎ
কর্মজীবনের পর গত ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারীতে দায়িত্ব পান সারাদেশে স্বনামধন্য এই প্রতিষ্ঠানের উপ-পরিচালক হিসেবে। ব্যক্তিগত জীবনে মাহমুদুর রহমান তার দাপ্তরিক কাজের মাঝেই নানারকম সামাজিক কর্মকান্ডের সাথেও জড়িত, শুধু তাই নয় তার নিজের লেখা রয়েছে কিছু প্রকাশনাও। দেশ ও দশের কল্যাণে নিজের সর্বোচ্চ মেধা ও শ্রম দিয়ে কর্মের মাধ্যমেই সুনামের সাথেই জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত পথ চলতে চান ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার’ অর্জনকারী এই কর্মকর্তা।
দৈনিক চাঁদনী বাজার/সাজ্জাদ হোসাইন